নিজস্ব প্রতিনিধি, বক্সনগর/ কমলাসাগর, ৯ নভেম্বর৷৷ বক্সনগরের সীমান্তবর্তী গ্রাম রহিমপুর৷ শুক্রবার সকাল সাড়ে ছয়টা নাগাদ রহিমপুর এক নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিদেশ থেকে আসা জানসেদ আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী রুকছানার মৃত্যুর জন্য দায়ী জামসেদ আলম বলেন শাশুড়ি৷ ঘটনার দুই ঘন্টার পর রুকছানা আক্তারকে নিয়ে বক্সনগর হাসপাতচালে আসেন প্রতিবেশীর সাড়ে নয়টা নাগাদ রুকছানার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতাল জনতার ভিড় জমে৷ কলমচৌড়া থানায় খবর পৌঁছামাত্র শুরু হয় পুলিশের দৌড়ঝাপ৷ রুকছানা আক্তারের পাঁচ বছরের একটি ছেলে সন্তানের মুখ থেকে শুনা গেল তার পাষন্ড পিতা জামসেদ আলম তাকে মোবাইল ফোনি দিয়ে মানিয়ে নিয়েছে৷ দরজা লাগিয়ে মাকে মেরেছে৷ শিশুটি বাবা দরজা খুলে দেবার জ্যন চিৎকার করেন৷ কিছুক্ষণ পরে সে দেখতে পায় তার বাবা পেন্ট শার্ট পরে চলে যায়৷ গোপন সংবাদে জানা যায় গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে রুকছানাকে৷ আবার কেউ বলছে বুকে চাপ দিয়ে মেরেছে৷ জামসেদ আলম বিয়ে করেছেন বিশালগড়ের কদমতলীতে মাত্র দিন পূর্বে শ্বশুর বাড়ি থেকে স্ত্রী পুত্র নিয়ে বেরিয়ে এসেছে নিজ বাড়িতে৷ সে বিদেশে ছিল দুই বছর৷ কিন্তু, বাড়ীতে এসেছে মাত্র নয়দিন হল৷ নয়দিন পর কেন রুকছানার জীবনে নেমে এল চরম অন্ধকার৷ শেষ পর্যন্ত কেনই বা কেড়ে নিল তার স্বামী৷ বিভিন্ন প্রশ্ণ উঁকি দিচ্ছে জনমনে৷ গোটা ঘটনার রহস্য উন্মোচন করতে তদন্তে নেমেছেন এসডিপিও রাজদ্বীপ দেব এবং অতিরিক্তি মহকুমা শাসক অভিজিৎ চক্রবর্তী৷
এদিকে, অবৈধ্য সম্পর্কের জেরে আগুন গায়ে দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করল গৃহবধূ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মধুপুর থানাধীন রাস্তারমাথা এলাকায়৷ গৃহবধুর নাম রিঙ্কি দেবনাথ (২৬)৷ রিঙ্কুর বিয়ে হয়েছিল রাস্তারমাথা গকুলনগরের এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মণ দেবনাথের সাথে৷ তাদের দুই ছেলে সন্তান৷ বড় ছেলে অষ্টম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে৷ লক্ষ্মণের পাশের বাড়ির কাকিমার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে৷ দীর্ঘদিন ধরে এই সম্পর্ক৷ লক্ষ্মণের বাড়ীর লোকদের কাছ থেকে জানা যায় মঙ্গলবার বিকাল চারটা নাগাদ নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে রিঙ্কু৷ যখন ঘরের ভিতরে আগুন লাগিয়ে দেয়৷ চিৎকার চেচামেচি শুনে বাড়ির লোকজন এসে রিঙ্কুকে হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ সেখানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে রিঙ্কু৷ রোজদিনই লক্ষ্মণের মোবাইলে ফোন করত পাশের বাড়ির কাকি৷ সেখানে গিয়ে লক্ষ্মণ সময় কাটাত৷ যখনই এই খবর লক্ষ্মণের স্ত্রী রিঙ্কুর কানে আসে তখন পাশের বাড়ি কাকিশাশুরিকে জিজ্ঞাসা করতে গেলেই ঝগড়া বাধে৷ সেই ঝগড়াকে ঘিরে নিজের স্বামীর সাথেও ঝগড়া হয়৷ তখনই রিঙ্কু অভিমানে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়ে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়৷ এই ঘটনাকে ঘিরে রিঙ্কুর বাবা বিশালগড় মহিলা থানায় মামলা দায়ের করেন৷ মামলার নম্বর ৪৯৩/৮এ/৩০৭ আইপিসি ধারা মোতাবেক৷