নয়াদিল্লি, ১ নভেম্বর (হি.স.) : জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নবায়নের দাবি-আপত্তি প্রক্রিয়ায় রাজ্য সমন্বয়ক প্ৰতীক হাজেলা কর্তৃক অবৈধ ঘোষিত রেশন কার্ড-সহ ১৫টি নথিকেই গ্রহণযোগ্য বলে রায় দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তবে দাবি আপত্তি সম্পর্কিত পুনঃআবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় স্বচ্ছ এবং কঠোর হতে রাজ্য সমন্বয়ককে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এনআরসি-র ওপর আজ বৃহস্পতিবার উচ্চতম ন্যায়ালয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ শুনানি হয়েছে। শুনানি শেষে পূর্ববর্তী ১৫টি নথিই নাগরিকত্বের প্রামাণিক তথ্য হিসেবে গ্ৰহণযোগ্য হবে বলে ঘোষণা করেছে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং বিচারপতি রোহিন্টন ফলি নরিম্যানের ডিভিশন বেঞ্চ। তাছাড়া এনআরসি-র ওজর-আপত্তি ও দাবির সপক্ষে আবেদনের সময়সীমা ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
প্রসঙ্গত, জাতীয় নাগরিকপঞ্জির প্রকাশিত খসড়া থেকে যে ৪০,০৭,৭০৭ জনের নাম বাদ পড়েছিল এনআরসিতে তাঁদের নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য দাবি-আপত্তি এবং মডালিটি সংক্রান্ত আবেদনে প্রামাণিক ১৫টি নথি থেকে পাঁচটি নথি যেমন রেশন কাৰ্ড, ১৯৫১ সালের এনআরসি নথি, ১৯৭১ সালের ২৪ মাৰ্চের মধ্য রাত পর্যন্ত প্ৰদত্ত নাগরিকত্বের প্ৰমাণপত্ৰ, ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ভোটার তালিকা এবং শরণাৰ্থীর রেজিস্ট্রেশন প্ৰমাণপত্ৰ বাদ দিতে সুপ্রিমকোর্টে হলফনামা দাখিল করেছিলেন রাজ্য সমন্বয়ক প্ৰতীক হাজেলা। এর পর এনআরসি-র রাজ্য সমন্বয়ক প্ৰতীক হাজেলা প্রদত্ত হলফনামার বিরোধিতা করে রাজ্য সরকার এবং রাজ্যের অরাজনৈতিক সংগঠন অসম পাবলিক ওয়ার্কস-সহ কয়েকটি সংগঠন পাঁচটি প্রমাণিক নথি বহাল রাখতে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন জানিয়েছিল।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নিৰ্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলতি ২০১৮-এর ৩০ জুলাই নিৰ্দিষ্ট সময়ে প্ৰকাশ করা হয়েছিল জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-র নবায়িত সম্পূর্ণ খসড়া। এই সম্পূৰ্ণ খসড়ায় মোট ৩,২৯,৯১,৩৮৫ জন আবেদনকারীর মধ্যে বিস্তৃত পরীক্ষণের পর ২,৮৯,৮৩,৬৭৭ জনের নাম প্ৰকৃত ভারতীয় হিসেবে এনআরসিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ থেকে বাদ পড়েছে ৪০,০৭,৭০৭ জনের নাম। অসমে এনআরসি-র নবায়নের ক্ষেত্ৰে রাজ্যে ১৯৭১ সালের ২৪ মাৰ্চের মধ্য রাতের পূর্ববর্তী বাসিন্দাদের প্ৰকৃত নাগরিক বলে গণ্য করা হয়েছে। এবার বাদ পড়া এই চল্লিশ লক্ষাধিক নাগরিকরা প্রকৃত ভারতীয় কিনা সে ব্যাপারে ফের দাবি-আপত্তি জানাতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছিলেন প্রতীক হাজেলার নিষেধাজ্ঞায়।