নয়াদিল্লি, ৩ অক্টোবর (হি.স.) : পরিবেশ বিষয় ক্ষেত্রে উল্লেখজনক অবদানের জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের ‘ইউএনইপি চ্যাম্পিয়ন অফ দি আর্থ’পুরস্কারে ভূষিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রাজধানী দিল্লির প্রবাসী ভারতীয় কেন্দ্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতারেস। উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, পরিবেশমন্ত্রী হর্ষবর্ধন, সংস্কৃতিমন্ত্রী মহেশ শর্মা। রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফ থেকে পরিবেশ বিষয়ক ক্ষেত্রে দায়িত্বে থাকা এরিক সোহেইম উপস্থিত ছিলেন। এদিন এরিক সোহেইম জানিয়েছেন, সোনা, জ্বালানি তেল বা অন্য কোনও জিনিস থেকেও বেশি দরকার রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রদান করার ক্ষমতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই নেতৃত্ব গোটা দেশ এবং বিশ্বকে দিয়ে চলেছেন।
উল্লেখনীয় ‘লিডারশিপ ক্যাটাগরি’তে এই পুরস্কারে সম্মানিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সৌর জোট গড়ার ক্ষেত্রে তার উল্লেখজনক ভূমিকার পাশাপাশি ২০২২ সালের মধ্যে ভারতের প্লাস্টিকের ব্যবহারের প্রতি সম্পর্ণ রাশ টানার যে অঙ্গীকার তিনি নিয়েছেন সেই কারণেই এই সম্মানে ভূষিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েম মেকরোনের সঙ্গে যৌথ ভাবে তিনি এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
পুরস্কার গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, প্রকৃতি এবং দুর্যোগ দুইটোই সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত। সংস্কৃতির যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রকৃতিকে গুরুত্ব দেবে ততক্ষণ পর্যন্ত দুর্যোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ে নিজের সরকারের অগ্রাধিকার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি থেকে শিল্পনীতি। গৃহ নির্মাণ থেকে শৌচাগার নির্মাণ সব ক্ষেত্রেই স্বচ্ছ পরিবেশ গড়ার উপর বিশেষ জোর দিয়েছে তার প্রশাসন। কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমানোর জন্য কাজ করা হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে তা কমানো হবে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশের মধ্যে। ২০২২ সালের মধ্যে প্লাস্টিকের ব্যবহার একেবারে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি। স্বচ্ছতা অভিযানের মাধ্যমে জলবায়ুর প্রতি মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন এসেছে। প্রকৃতিকে জীবন্তবস্তু হিসেবে প্রাচীনকাল থেকে দেখে ভারতীয় সংস্কৃতি। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গরিব মানুষেরা। আর্থিক বৃদ্ধি এবং জীবনের মানোন্নয়নের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কয়েক কোটি মানুষকে দারিদ্র সীমার উপরে তোলা হয়েছে। সোয়েল হেলথ কার্ড এবং জৈব কৃষি উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় হয়েছে। আমাদের স্মার্ট সিটি মূল লক্ষ্যই হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহার।