লখনউ, ২ অক্টোবর (হি.স.) : পথ দুর্ঘটনা নয় গুলি লাগার কারণেই মৃত্যু হয়েছে অ্যাপেল স্টোরের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেলস ম্যানেজার বিবেক তিওয়ারির। এমনই বলা হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে।
মঙ্গলবার অ্যাপেল স্টোরের অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার বিবেক তিওয়ারি হত্যাকাণ্ডের ময়নাতদন্ত এবং অ্যাটোপসি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। দুইটি রিপোর্টেই স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে গুলি লাগার কারণেই মৃত্যু হয়েছে বিবেক তিওয়ারির। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে থুতনির বাঁ দিকে গুলি লাগার ফলেই মৃত্যু হয়েছে বিবেকের। অ্যাটোপসি রিপোর্টে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে পথ দুর্ঘটনায় নয় গুলি লাগার কারণেই মৃত্যু হয় বিবেকের। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে বিবেকের উপর গুলি চালানো হয়।
এর আগে একই দাবি করেছিলেন বিবেক তিওয়ারির সঙ্গে থাকা তার সহকর্মী সানা খান। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছিলেন গাড়ি উইনশিল্ডের কাছে এসে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে বিবেক তিওয়ারির উপর গুলি চালানো হয়। পরে সানা খান দাবি করেছিলেন যে বয়ান বদল করার জন্য পুলিশের তরফ থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্তি দুই পুলিশকর্মী প্রশান্ত কুমার এবং সন্দীপকে ক্লিনচিট দেওয়ার জন্য তাকে চাপ দেওয়া হয় বলে দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে সরকারের তরফ থেকে লখনউ পৌরনিগমে নিহত বিবেক তিওয়ারির পরিবারের এক সদস্যকে চাকরি দেওয়া হয়েছে।চাকরি পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী কল্পনা তিওয়ারি।
বিবেক তিওয়ারি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করে দেখার জন্য পুলিশের তরফ থেকে বিশেষ তদন্তকারী দল সিট গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সিট-এর তদন্তকারী আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে অপরাধের পুনঃনির্মাণ করা হয়। আর তথ্যপ্রমাণ উদ্ধারের জন্য লখনউ রেঞ্জের পুলিশের আইজি সুজিত কুমার ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেন। পুলিশ সুপার দীনেশ সিং এবং ফরেনসিক দলের সদস্যরাও ঘটনাস্থলে আসেন। পুলিশে সঙ্গে ছিলেন কল্পনা তিওয়ারি এবং সানা খান।
উল্লেখনীয়, ২৯ সেপ্টেম্বর ভোররাতে প্রদেশের রাজধানী লখনউয়ে| পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় অ্যাপেল স্টোরের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেলস ম্যানেজার বিবেক তিওয়ারির (৩৮)|