নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ জুন৷৷ রাজ্যে পাহাড়ি জনপদে কাজ ও খাদ্যের প্রচন্ড অভাব রয়েছে, এই দাবিতে অটল গণমুক্তি পরিষদের রাজ্য

সভাপতি তথা সাংসদ জিতেন্দ্র চৌধুরী৷ কারণ, উপমুখ্যমন্ত্রী তথা পঞ্চায়েত মন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা দাবি করেছেন পাহাড়ি জনপদে কাজ ও খাদ্যের কোন অভাব নেই৷ শুধু তাই নয়, রাজস্বমন্ত্রী এন সি দেববর্মা এবং উপজাতি কল্যাণমন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়াও সম্প্রতি এই দাবিই করেছেন৷ তাই শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে জিতেন্দ্র চৌধুরী বিডিওদের আইপিএফটির নির্দেশের তথ্য তুলে ধরে দাবি করেন, ব্লকে অর্থ বরাদ্দে আইপিএফটি বাধা দিচ্ছে৷ তাই, মানুষের কাছে টাকা পৌঁছাচ্ছে না৷ সাথে তিনি বিদ্রূপ করে বলেন, সরকার পরিবর্তন হতেই কেন্দ্রীয় সরকার রেগা প্রকল্পে জিও ট্যাগিং প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে৷
সাংসদ শ্রীচৌধুরীর কথায়, গত ৮ মে রাজ্যের কাজ ও খাদ্যের পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বিভিন্ন তথ্যও তুলে ধরেছিলাম৷ গঙ্গানগর, ভগীরথপাড়া, ছাওমনু, লংতরাই ইত্যাদি এলাকায় জনগণ ভীষণ সমস্যায় পড়েছেন৷ এই দাবি দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা এর খন্ডন করেছেন৷ শ্রীচৌধুরীর বক্তব্য, উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা কাজ ও খাদ্যের অভাবের দাবি ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন৷ এই দাবি ভিত্তিহীন বলে তিনি মন্তব্য করেছেন৷ তাই রাজ্য সরকারকে জানাতে চাইছি ওই এলাকাগুলি থেকে তথ্য সংগ্রহ করে দাবির প্রেক্ষিতে মন্তব্য করুন, বলেন জিতেন্দ্র চৌধুরী৷
তাঁর কথায়, আইপিএফটি সহকারী সাধারণ সম্পাদক জীবনজয় রিয়াং গঙ্গানগরের বিডিওকে চিঠি দিয়ে সরকারি স্কিমের কাজ আইপিএফটি ভিলেজ কমিটি মনিটরিং কমিটির মাধ্যমে বন্টনের জন্য বলেছেন৷ তাঁর কটাক্ষ, সম্পূর্ণ অসাংবিধানিকভাবে বিডিওকে এই চিঠি দিয়েছে আইপিএফটি৷ সাথে জিতেন্দ্র চৌধুরী যোগ করেন আমবাসায় কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকেও সরকারি স্কিমে কোন টাকা বরাদ্দ না করার জন্য চিঠি দিয়েছে আইপিএফটি৷ আইপিএফটির বক্তব্য, সমস্ত কিছুর তদন্ত হবে৷ এরপরই অর্থ বরাদ্দ করা যাবে৷ জিতেন্দ্র চৌধুরী কটাক্ষের সুরে বলেন, বর্তমান সরকার কোন দলের নাকি জনগণের তা বোঝা যাচ্ছে না৷ এই সরকার জনগণকে নাকি দলকে প্রাধান্য দিচ্ছে তাও বোঝা যাচ্ছে না৷
জিতেন্দ্র চৌধুরীর কথায়, বায়োমেট্রিক সিস্টেমের কারণে রেশনিং ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে৷ অনেক জায়গায় মানুষ রেশন তুলতে পারছেন না৷ তাঁর কটাক্ষ, এই সমস্ত তথ্য সরকার জানে না তা বড়ই দুর্ভাগ্যের৷
এদিকে, জিও ট্যাগিং নিয়ে বর্তমান সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারকে তির্যক ভাষায় বিঁধেছেন জিতেন্দ্র চৌধুরী৷ তাঁর কথায়, বাম জমানায় রেগা প্রকল্পে জিও ট্যাগিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল৷ জিও ট্যাগিংয়ের পর তদানীন্তন বামফ্রন্ট সরকারকে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট পাঠাতে হত৷ কিন্তু, সরকার পরিবর্তন হতেই জিও ট্যাগিং রাজ্যের জন্য বাধ্যতামূলক নয় বলে ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ দীশা কমিটির সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট থেকে এই তথ্য সম্পর্কে জানা গেছে, বলেন সাংসদ শ্রীচৌধুরী৷