
এরপর উত্তর কোরিয়ার শাসক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সেন্ট্রাল কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান কিম ইয়ং চল হোয়াইট হাউজ়ে যান। শাসক কিম জং উনের একটি চিঠি নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন। তারপরই ১২ জুনের বৈঠক নিয়ে অচলাবস্থা কেটে যায়। হোয়াইট হাউজ সূত্রে খবর, প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে ট্রাম্প এবং চলের মধ্যে বৈঠক হয়। রোজ গার্ডেন থেকে ওভাল অফিস পর্যন্ত ওই আলোচনায় উভয় দেশের বৈঠক নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতা কাটে। এই বৈঠকে বসার জন্য উত্তর কোরিয়ার উপর কিছু শর্ত চাপায় আমেরিকা৷ ট্রাম্প চাইছিলেন কিম পরমাণু অস্ত্র নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা বন্ধ করুক৷ পাল্টা উত্তর কোরিয়া জানায় আমেরিকা যদি পারমাণবিক অস্ত্র নষ্ট করে ফেলার জন্য তাদের ওপর চাপ দেয় তাহলে তারা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকে বসবে না। অপরদিকে ২৪ মে কিমকে চিঠি লিখে ট্রাম্পও শীর্ষ সম্মেলন বাতিল করার কথা জানান৷ কিন্তু মে মাসের শেষের দিকে উত্তর কোরিয়া তাদের একমাত্র পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্র পুঙ্গেইরি কেন্দ্রটি ধ্বংস করে৷ এর পরেই পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় দিকে শুরু করে৷
প্রসঙ্গত, প্রায় ১৮ বছর পর অামেরিকার কোনও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার এই স্তরের একজন অফিসিয়ালের আলোচনা হল। তবে হোয়াইট হাউজ সূত্রে খবর, কিমের পাঠানো চিঠিতে কী ছিল তা জানা যায়নি। আলোচনার পর ওয়াশিংটন ডিসি এবং পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে আশাপ্রকাশ করেন ট্রাম্প। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি নিয়ে মতামত জানতে চাওয়া হলে ট্রাম্প বলেন, “মনে হচ্ছে ওরা পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ করতে চায়। তারা দেশ হিসেবে উন্নতি করতে চায়।”