নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ৫ মে৷৷ করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি মহকুমার অন্তর্গত বাজারিছড়া থানার এলাকার ৮ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া

শর্মা লাইন হোটেলের পাশে দুর্ঘটনাগ্রস্থ একটি কন্টেনার লরি থেকে পচাগলা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷ আজ শনিবার সকালে লোয়াইরপোয়া এলাকার হাতিখিরা বিশ নম্বর লাইন সংলগ্ণ জাতীয় সড়কে শর্মা লাইন হোটেলের কাছে রাস্তার পাশে ক্যাপসাইড হয়ে অঙ্কুর সার্ভিসের অধীনে এএস ০১ জেসি ০৫৬২ নম্বরের দুর্ঘটনাগ্রস্ত একটি কন্টেনার লরি মুখ থুবড়ে পড়ে ছিল৷ গাড়ি থেকে পচা দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয় জনতা পুলিশে খবর দেন৷ খবর পেয়ে ছুটে আসেন বাজারিছড়া থানার ওসি গৌতম দাস, এসআই শংকর চক্রবর্তী, চোরাইবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুপ্রিয় ভট্টাচার্য৷ তাঁরা লরিতে তল্লাশি চালিয়ে ক্যাবিনে বছর ৩০-এর পচাগলা এক যুবকের লাশ শনাক্ত করেন৷ পরে লোক লশকরের সাহায্যে তাঁরা লাশটি উদ্ধার করে এর প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন৷ নিহত যুবকের মুখ থেঁতলানো ছাড়াও তার মাথায় চুল ছেঁড়া অবস্থায় পাওয়া গেছে৷ তাছাড়া লরির ভেতর থেকে কিছুথ কাগজপত্রের ফটোকপি এবং কাপড়ও উদ্ধার করেছেন পুলিশ অফিসাররা৷
পুলিশ মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ দুর্ঘটনাগ্রস্ত লরিটি বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে৷ প্রাথমিক তদন্তের পর ওসি গৌতমস দাস জানান, তিনি মনে করেছেন লরিটি কলকাতা থেকে বিস্কিটস, চকলেট ইত্যাদি বোঝাই করে আগরতলার উদ্দেশে যাচ্ছিল৷ কিন্তু মাঝপথে লরিটি দুর্ঘটনায় শিকার হয়েছে৷ নিহতকে চালক বা সহ চালক মনে করছেন তিনি৷ কারণ তিনি যে-ই হোন না কেন, দুর্ঘটনার পর ব্যক্তিটি মারা গেলে বেগতিক দেখে সহকর্মীরা লরি এবং তাঁর মৃতদেহ ফেলে পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে৷ তবে যাই-হোক না কেন, ঘটনার তদন্ত হয়েছে৷ প্রকৃত রহস্য বের হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ওসি৷ ইতিমধ্যে ত্রিপুরা ও অসমের সব থানাকে ব্যাপারটি জানানো হয়েছে৷ তাছাড়া যে কোম্পানির অধীনে গাড়িটি চলছে সেই অঙ্কুর সার্ভিসের অবস্থান এবং তার মালিক সম্পর্কে তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি৷