কর ফাকি দিয়ে নিত্যদিন বহু পণ্য রাজ্যে আসছে

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ২৭ এপ্রিল৷৷ দেশে এক কর ব্যবস্থা তথা জিএসটি চালু হবার পর দেশ ও রাজ্যের নানা প্রান্তে বিক্রয়কর দপ্তর সহ অন্যান্য

শুক্রবার কর ফাকি দিয়ে আনান বিভিন্ন সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷ ছবি নিজস্ব৷

দপ্তরের চেকগেইট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল৷ যেহেতু এক দেশ এক কর ব্যবস্থা তাই দেশ ও রাজ্যের নানা প্রান্তের বিভিন্ন দপ্তরের চেকগেইট বন্ধ হয়ে যায়৷ রাজ্যের প্রবেশদ্বার চুরাইবাড়ি অত্যাধুনিক চেকপোষ্টের সকল কাজ কর্ম বন্ধ হয়ে পড়ে কারন পণ্য বোঝাই লরিগুলি জিএসটি-র মাধ্যমেই রাজ্যে প্রবেশ করছে৷ কিন্তু বাস্তবে সে কি চলছে তা জানলে চোখ কপালে উঠবে রাজ্যবাসীর৷ প্রতিদিন প্রতিনিয়ত কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকারের কর ফাঁকি দিয়ে জিএসটি কাগজ পত্র ছাড়াই বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী রাজ্যে প্রবেশ করছে তাও আবার রাজ্যের প্রবেশদ্বার চুরাইবাড়ি হয়ে৷ বর্তমানে চুরাইবাড়ি সেইলটেক্স কমপ্লেক্সের ভেতর বিক্রয়কর দপ্তরের এনফোর্সমেন্ট ডিপারমেন্টের একটি ভিজিলেন্স টিম রয়েছে৷ সেখানে বিক্রয়কর দপ্তরের ১০ জন ইন্সপেক্টর এবং ২ জন সুপারটেনডেন্ট রয়েছেন৷ উনারাই রাজ্যে প্রবেশ কারী পণ্য বোঝাই লরি গুলির জিএসটি কাগজ পত্র ও পণ্য বোঝাই লরি চেক করে দেখার কথা থাকলেও তা করেন না৷ জানা গেছে সুপারটেন্ট প্রদীপ দেববর্মা চুরাইবাড়িতে আসার পর থেকেই সকল অবৈধ্য ভাবে পণ্য সরবরাহ কারী ট্রান্সপোর্টের মালিক ও লরি চালকদের সাথে টাকার সমজতা করেছেন৷ এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় জনগন ও উনার ইন্সপেক্টররা বহুবার রাজ্যে কর ফাঁকি দিয়ে প্রবেশ হওয়া লরির কথা অবগত করলেও মাননীয় সুপারটেন্ট প্রদীপ দেববর্মা আজ পর্যন্ত একটি গাড়ীর কাগজ পত্রবা লরিতে জিএসটি-র বাইরে কোন পণ্য সামগ্রী আছে কিনা তাও দেখেননি৷ সুপারটেন্ট বাবু এসি রুমে বসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সকল অসাধু ব্যবসায়ীদের সাথে যোগসূত্র রেখে টাকা রোজগারের নয়া ফন্দি এটেছেন বলে অভিযোগ৷

ঠিক তেমনি ডাব্লউবি৪৩/১৬৯৩ নম্বরের বারো চাকার একটি পণ্য বোঝাই লরি কলকাতা থেকে আগরতলা আসার উদ্দেশ্যে চুরাইবাড়িতে এসে দাড়ায়৷ ঐ চালকে চাল চলন আবভাব দেখে স্থানীয় জনগণের সন্দেহ হয়৷ স্থানীয় জনগন সহ চুরাইবাড়ির বিজেপি নেতৃত্বরা ছুটে যান এনফোর্স ডিপার্ট মেন্টের ইন্সপেক্টর ও সুপারটেন্ট প্রদীপ দেববর্মার কাজে৷ স্থানীয় জনগন ও বিজেপি নেতৃত্বদের দাবী ঐ গাড়ীতে কর ফাঁকি দেওয়া বিপুল পরিমাণ পণ্য সামগ্রী রয়েছে৷ কিন্তু সুপারটেন্ট প্রদীপ দেববর্মা মোটা অংকের বিনিময়ে ঐ গাড়িটিকে রাজ্যে প্রবেশ করিয়ে দেন এমনটাই স্থানীয় জনগন ও নেতৃত্বের দাবী৷ রাজ্যে প্রবেশের পর স্থানীয় জনগন ও বিজেপি নেতৃত্বরা যৌথ ভাবে ঐ গাড়িটিকে আটক করে চুরাইবাড়ি সেইলটেক্স কমপ্লেক্সের তল্লাশি ছাউনিতে নিয়ে আসেন৷ অবশেষে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সুপারটেন্ট প্রদীপ দেববর্মা ইন্সপেক্টর দিয়ে ঐ গাড়িতে তল্লাশি শুরু করেন৷ অবশেষে ঐ পণ্য বোঝাই লরি থেকে ৮২ পেকেট অবৈধ্য ভাবে মজুদ বিভিন্ন সা -সামগ্রী উদ্ধার হয়৷ ঐ ৮২ পেকেট পণ্য সামগ্রীর জিএসটি কাগজ বা ইনবয়েজ নেই৷ সম্পূর্ণ অবৈধ্যভাবে কর ফাঁকি দিয়ে পণ্য সামগ্রী গুলি রাজ্যে প্রবেশ হচ্ছিল৷ ৮২ পেকেট সা-সামগ্রীগুলি হল -রাবার প্রডাক্ট, বেবি প্রস্টিক শিট, আতস বাজি, হার্ডওয়ার, রুমাল মেডিসিন ইত্যদি৷ বর্তমানে উদ্ধার হওয়া পিবুল পণ্য সামগ্রীগুলি চুরাইবাড়ি এনফোর্সমেন্ট ভিজিলেন্সের গোডাউনে রয়েছে৷ ভিজিলেন্স টিম মালগুলি বাজেয়াপ্ত করেছেন৷ এদিকে স্থানীয় জনগনও বিজেপি নেতৃত্বের দাবী ঐ ডাকাতরুপি সুপারটেন্ট প্রদীপ দেববর্মার বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক৷ কেননা প্রতিদিন এভাবে শত শত পণ্য বোঝাই লরি রাজ্যে প্রবেশ করছে আর সেই লরি গুলিতে যে কর ফাঁকি দেওয়া সামগ্রী নেই তার কোন নিশ্চয়তা নেই৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *