
সম্প্রাসারিত মন্ত্রিসভায় যাঁরা শপথ নিয়েছেন তাঁরা তাঁরা বিজেপি-র গুয়াহাটি (পূর্ব)-র সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য (পূর্ণমন্ত্রী), পাহাড়ি জেলা সদর ডিফুর বিধায়ক সুম রংহাং (পূর্ণমন্ত্রী), মধ্য অসম থেকে জাগিরোডের পীযূষ হাজরিকা (স্বতন্ত্র প্রতিমন্ত্রী), উজান অসম থেকে সোনারির তপন গগৈ (স্বতন্ত্র প্রতিমন্ত্রী), রঙিয়ার ভবেশ কলিতা (স্বতন্ত্র প্রতিমন্ত্রী)।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন মন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা, পরিমল শুক্লবৈদ্য, প্রমিলারানি ব্রহ্ম, রঞ্জিত দত্ত, কেশব মহন্ত, তিন শরিক দলের সভাপতি বিজেপির রঞ্জিতকুমার দাস, অগপ-এর অতুল বরা, বিপিএফ-প্রধান হাগ্রামা মহিলারি প্রমুখ। ছিলেন মুখ্যসচিব টিওয়াই দাস, পুলিশের মহানির্দেশক মুকেশ সহায়-সহ একগাদা সরকারি অফিসার।
নতুন-পুরনো, জাতি-জনগোষ্ঠী ইত্যাদি নানা অঙ্ক মেলাতে গিয়ে এতদিন তাঁর মন্ত্রিসভায় আট শূন্য পদ পূরণ করতে পারছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল। দু-বছর আগে ২০১৬ সালের ২৪ মে মোট দশজন মন্ত্রীকে নিয়ে লক্ষাধিক জনতার সামনে পদ ও গোপনীয়তার শপথ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল। সেদিন তাঁর সঙ্গে পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা (বিজেপি), অতুল বরা (অগপ), প্রমিলারানি ব্রহ্ম (বিপিএফ), পরিমল শুক্লবৈদ্য (বিজেপি), চন্দ্রমোহন পটোয়ারি (বিজেপি), কেশব মহন্ত (অগপ), রঞ্জিত দত্ত (বিজেপি), রিহন দৈমারি (বিপিএফ)। তাছাড়া স্বতন্ত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই রাজ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন নবকুমার দলে (বিজেপি) এবং পল্লবলোচন দাস (বিজেপি)।
প্রসঙ্গত ১২৬ বিধায়কের বিধানসভায় আনুপাতিক হারে ১৯ জন মন্ত্রী থাকার কথা। সে অনুযায়ী ১৮ জনকে নিয়ে তাঁর পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী সনোয়াল। মন্ত্রিসভা সম্প্রাসরণের পর একটি আসন শূন্য রাখা হয়েছে। শরিকি ভারসাম্য বজায় রেখে অগপ এবং বিপিএফ-এর তিন, সাতজনকে জাতি-জনগোষ্ঠীর অঙ্কে মন্ত্রী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বিজেপির একজন মহিলা মন্ত্রিসভায় নেওয়া হয়নি। একজন রয়েছেন তিনি শরিক বিপিএফ-এর প্রমিলারানি ব্রহ্ম।