নিজস্ব প্রতিনিদি, আগরতলা, ২১ এপ্রিল৷৷ নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস বন্ধ করার জন্য রাজ্য সরকার এবং শাসক দলের নেতৃত্বের প্রতি আবেদন জানিয়েছে সিপিএম৷ শনিবার সিপিএমের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শাসক জোটের দুর্বৃত্তবাহিনীর আক্রমনের মাত্রা কমছে তো নাই, উল্টো ফ্যাসিষ্ট ফায়দায় আর এস এস -বিজেপি দল কমিউনিস্ট পার্টি (মাঃ) ভীতকে দুর্বল করতে সন্ত্রাসের পথেই এগুচ্ছে৷ এজন্য সন্ত্রাস মূলক কার্যকলাপকে বাড়াচ্ছে৷ বিজেপি দলের পক্ষ থেকে সর্বত্র হুলিয়া জারি করা হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়, পাড়ায় সিপিআই(এম)-র পক্ষে কোন ধরনের কাজ করা যাবে না৷ পার্টি নেতা, কর্মী ও সমর্থক বা দরদী কেহই কাউর বাড়ীতে যেতে পারবে না, কথা বলতে পারবে না, হাটে বাজারে যেতে পারবে না, অসুস্থ হলে হাসপাতালে যেতে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে৷ এমনকি কেহ মারা গেলে সে বাড়ীতেও যাওয়া যাবে না৷ সামাজিকভাবে একতাবদ্ধ সমাজকে ধবংসাত্মক পথে ঠেলে দিতে মরিয়া অরএসএস ও বিজেপি দল৷
জিরানীয়া মহকুমা জুড়ে বিজেপি’র সন্ত্রাসবাহিনীর আক্রমণ, সন্ত্রাস অব্যাহত রয়েছে৷ বর্তমান বিধায়করা যথাক্রমে মজলিশপুরের সুশান্ত চৌধুরী ও খয়েরপুরের রতন চক্রবর্তী সব কিছু জেনে শুনেও নিশ্চুপ ভূমিকায়৷ সন্ত্রাস বন্ধে বিন্দুমাত্রও ভূমিকা নিচ্ছেন না৷ এতে এলাকায় সব অংশের মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে৷
গত ২০ এপ্রিল জিরানীয়ার শচীন্দ্র নগর কলোনীর নগ্রাই বাড়ীতে রাত ১১টা নাগাদ শাসক দলের বিজেপি দুর্বৃত্তরা আক্রমণ সংগঠিত করে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরের টিভি -সহ সমস্ত মূল্যবান সামগ্রী ভাঙ্গচুর করে৷ এতে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি হয়৷ ভয়ে মানুষ আতঙ্কিত৷ রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়৷ গ্রেপ্তার নেই৷
২০ এপ্রিল বিকালে খয়েরপুর কেন্দ্রের পশ্চিম নোওয়াবাদী এলাকার সি পি আই (এম) কর্মী সঞ্জিব চৌধুরীকে বিজেপি দুর্বৃত্তরা মারধোর করেছে৷
সিপিআই(এম) পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা ও জিরানীয়া মহকুমা কমিটি শাসক দল বিজেপি’র দুর্বৃত্তদের আক্রমনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে৷ সন্ত্রাস, আক্রমণ বন্ধে রাজ্য সরকার, শাসক দলের নেতৃত্বেকে ভূমিকা নিতে আবেদন জানাচ্ছে এবং পুলিশ প্রশাসনকে দুসৃকতকারীদের গ্রেপ্তারে উদ্যোগ নিতে দাবি জানাচ্ছে৷
১৯ এপ্রিল রানীরবাজার ব্রজনগরে বৈশাখী মেলায় বিজেপি দুসৃকতকারীরা সুশান্ত দেবনাথ-কে জনগণের সামনে মারধোর করে৷ এতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে৷ শাসক জোটের দুই শিবিরে দ্বন্ধ৷ এলাকা দখলের লড়াই৷ হাতাহাতি, মারধোর, রক্তপাত৷ গত ২০ এপ্রিল খয়েরপুর এলাকার খাস নোওয়াগাঁও এলাকায় রাতে আই পি এফ টি কর্মী জেমস কলই-কে বিজেপি দুর্বৃত্তরা মারধোর করে৷ এতে এলাকা জুড়ে উত্তেজনা ছড়ায়৷ ঘটনার সূত্রপাত এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে৷ পরদিন আই পি এফ টি সুপ্রিমো তথা মন্ত্রী এন সি দেববর্মা ঐ এলাকার যায়৷ শাসক জোটের দুই দলের এলাকা দখলের লড়াই ঐ এলাকাবাসী অতিষ্ট, আতঙ্কিত৷