ভুবনেশ্বর, ৮ এপ্রিল (হি.স.): ফের প্রশ্নের মুখে রেলের যাত্রী সুরক্ষা। শনিবার রাত ১০টা নাগাদ ওডিশার টিটালাগড় স্টেশনে যাত্রীবোঝাই আহমেদাবাদ-পুরী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ইঞ্জিন ছাড়াই হঠাৎ চলতে শুরু করে। সেই সময় ট্রেনের ভেতর অধিকাংশ যাত্রীই নিশ্চিন্তে গুমিয়ে ছিল। পরিস্থিতি ভয়াবহতা বুঝতে পারা মাত্রই যাত্রীদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। কিন্তু ততক্ষণে ইঞ্জিন ছাড়াই প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ফেলেছে ট্রেনটি। তখন টনক নড়ে রেলকর্তাদের। ট্রেনটিকে থামানোর জন্য তারা তৎপর হয়ে ওঠে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ট্রেন থামানোর কাজে নেমে পড়েন রেলকর্মীরা। তারা লাইনে পাথর ফেলে ট্রেনটিকে দাঁড় করান। এই ঘটনার জেরে কোনও যাত্রী আহত না হলেও বড় ধরণে দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে বলে মনে করেন রেলের আধিকারিকেরা। বরাত জোড়ে কয়েক হাজার যাত্রীর প্রাণ বাঁচল বলে মনে করছে রেল দফতর। কারণ ইঞ্জিন না থাকার জন্য সিগন্যালের তোয়াক্কা না করে নিজে থেকে এগিয়ে গিয়েছে ট্রেনটি। এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল।
প্রাথমিক তদন্তের পরে রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ট্রেন থেকে ইঞ্জিন খুলে নেওয়ার সময় ট্রেনে স্কিড ব্রেক লাগাতে ভুলে গিয়েছিল রেলের কর্মীরা তার জেড়েই এই ঘটনাটি ঘটে। পরে ট্রেনটির সঙ্গে ইঞ্জিন লাগাইয়ে আবার তাকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে রওনা করা হয়। এই ঘটনায় ফের প্রমাণিত যাত্রী নিরাপত্তায় কতটা উদাসীন রেল ।