দুগ্দ উৎপাদন বাড়াতে কৃত্রিম গো-প্রজননে গুরুত্ব দিতে হবে ঃ প্রাণী সম্পদ বিকাশ মন্ত্রী

আগরতলা, ৪ এপ্রিল৷৷ প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের কাজের গতিতে ত্বরান্বিত করতে এবং আগামী দিনে দপ্তরে কাজের রূপরেখা তৈরী করার জন্যে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমার সভানেত্রীত্বে আজ মহাকরণের ২নং কনফারেন্স হলে এক পর্যালোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ সভার শুরুতেই দপ্তরের অধির্কতা প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের বিভিন্ন কার্যাবলী সম্পর্কে সকলকে অবহিত করেন৷ পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনার মধ্য দিয়ে দপ্তরে আগামী ১০০ দিনের কাজের রূপরেখা তৈরী করা হয়৷ সভায় দপ্তরের মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা উন্নয়নের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান৷ এছাড়া, তিনি প্রত্যেককেই সময়ের কাজ সময়ে সম্পন্ন করার পরামর্শ দেন৷ আজকের সভায় দপ্তরের উদ্যোগে দুগ্দ, মাংস ও ডিমের মাথাপিছু উৎপাদন বাড়ানোর ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়৷ মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা দুগ্দ, মাংস ও ডিম উৎপাদন এবং দপ্তরের অন্যান্য কার্যাবলী সম্পর্কে জেলা ভিত্তিক পর্যালোচনা করেন৷ এছাড়া, প্রাণীচিকিৎসা এবং পশু টিকাকরণ বিষয়ে বিস্তারিত খতিয়ে দেখে পশু টিকাকরণে আরও যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দেন৷ তাছাড়াও তিনি টিকাকরণ টিকা সরবরাহকারী সংস্থাগুলিএক নির্দিষ্ট শর্তাবলী মেনে সঠিক সমটে টিকা সরবরাহ করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন৷ সভায় দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১৭-১৮ বছরে জানুয়ারী মাস পর্যন্ত রাজ্যে বর্তমানে ৩টি ও এ ডি সি এলাকায় ১টি সহ ৪টি পোল্ট্রিফার্ম রয়েছে৷

প্রতিটি ফার্মেই নির্দিষ্ট সংখ্যা অনুযায়ী মুরগী পালনের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়৷ যাতে এই ফার্মগুলির উৎপাদিত মুরগী ছানা রাজ্যের ৭০টি ব্রুডার হাউসে সরবরাহ করার যায়৷ কারণ এই ব্রুডারহাউসগুলি থেকেই গ্রামের গরীব চাষীদের মুরগী পালনের মাধ্যমে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের জন্য মুরগী ছানা সরবরাহ করা হয়৷ দুগ্দ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃত্রিম গো-প্রজনন বিষয়ে দপ্তরকে যত্নবান হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন দপ্তরের মন্ত্রী৷ আগরতলার গোমতী দুগ্দ উৎপাদন সমবায় উৎপাদন সমবায় সমিতিকে পুররূজ্জীবিত করার ব্যাপারেও পরিকল্পনা নেওয়ার পরামর্শ দেন মন্ত্রী৷ রাজ্যে মাথাপিছু দুগ্দ উৎপাদন ১১৩ পালন সম্পর্কেও আজকের সভায় আলোচনা হয়৷ সভায় দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয় এডিসি এলাকা সহ রাজ্যে মোট ৮টি শূকর ছানা উৎপাদন খামার রয়েছে৷ প্রতিটি শূকর প্রজনন খামারকে পিগ ব্রিডিং পলিসি অনুযায়ী কাজ করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী৷

আজকের সভায় এছাড়াও ভেটেরিনারী কলেজের আধুনিকীকরণ সম্পর্কেও আলোচনা হয়৷ পরিকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করা হয়৷ নবনির্মিত ১২টি ভেটেরিনারি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং একটি ভেটেরিনারি ডিসপেনসারি শীঘ্রই চালু করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়৷ এদিনের সভায় এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, দপ্তরের সচিব এম এল দে, অধিকর্তা ডাঃ অসিত চক্রবর্তী, ভেটেরিনারি কলেদের অধ্যক্ষ ডঃ ডি এল বিজ্জুয়াল এবং দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকগণ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *