নিজস্ব প্রতিনিধি, উদয়পুর, ১ এপ্রিল৷৷ ফের বর্বরতার নগ্ণ রূপ প্রকাশ্যে আসল৷ আগরতলায় চন্দ্রপুর টাটা কালীবাড়ির পুণরাবৃত্তি ঘটল গোমতী জেলার কাকড়াবন থানার অধীন হদ্রা গ্রামে৷ এক গৃহবধূকে মধ্যযুগীয় কায়দায় বিবস্র করে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্যাতন চালালো দুসৃকতিরা৷ ঘটনার জেরে বিভিন্ন মহলে তীব্র নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বইছে৷ যদিও বিজেপি মহিলা মোর্চা নির্যাতিতার পাশে দাঁড়িয়েছে৷ নির্যাতনকারী দুই দুসৃকতির বিরুদ্ধে কেঠার শাস্তির দাবীতে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি মহিলা মোর্চা সহ এলাকার জনগণ৷ এদিকে, কাকড়াবন থানার পুলিশের ভূমিকায় জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে৷
শনিবার দুপুর আনুমানিক দেড়টা নাগাদ হদ্রা এলাকার হঠাৎ চৌমুহনীর বাসিন্দা বিপ্লব কর ওরফে মহাদেব ও সুকান্ত শীল নামে দুই যুবক তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা প্রতিবেশী শ্যামল দাসের বাড়িতে যায়৷ পরিকল্পিতভাবে প্রথমে শ্যামল দাসের ঘরে প্রবেশ করে তার স্ত্রীকে প্রচন্ড মারধর করে৷ স্বামী ও দুই সন্তানের সামনে সাতাশ বছর বয়সী ঐ গৃহবধূর শরীরের কাপড় টেনে ছিড়ে ফেলে৷ গৃহবধূকে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র করে দেয়৷ আর হামলাকারীদের সাঙ্গপাঙ্গরা সেই দৃশ্য উপভোগ করে৷ প্রতিবাদ করতে এলে শ্যামল দাস ও তার দুই সন্তানকে বেধরক মারধর করে৷ ঘটনার পরপরই হামলাকারী যুবকের পরিবারের মহিলারা ঐ গৃহবধূকে চরিত্রহীনা বলে প্রচার শুরু করে দেয়৷ নির্যাতিতার পরিবার আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে রয়েছে৷ ভয়ে মুখ খুলতে চাইছে না৷ গৃহবধূ সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি দলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে সংগঠনের কাজকর্ম করেছেন৷ অন্যদিকে হামলাকারী বিপ্লব ও সুকান্ত এলাকায় কট্টার সিপিএম ক্যাডার হিসেবে পরিচিত৷ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর তারা গেরুয়া আবির মেখে স্বঘোষিত বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচয় দেয়৷ বহুদিন ধরেই বিপ্লব ও সুকান্তের নজর ছিল ঐ গৃহবধূর উপর৷ নানা সময়ে কুপ্রস্তাবও ঐ গৃহবধূকে দিয়েছে বলে অভিযোগ৷ ঐ মহিলা কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গতকাল দুপুরে প্রকাশ্যে বিপ্লব ও সুকান্ত বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে মারধর করে৷ প্রতিবাদ করতে এলে স্বামীকে মারধর করে৷ এই ঘটনার পর গোটা এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ যদিও নির্যাতিতার পরিবার এই বিষয়ে কাকড়াবন থানায় অভিযোগ জানিয়েছে৷ কিন্তু, পুলিশ এখনো পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি৷ অন্যদিকে, নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে রয়েছেন৷