আজ ৩৬ তম আগরতলা বইমেলার উদ্বোধন, এবারের থিম হচ্ছে রাজ্যের বৈচিত্রময় সংসৃকতি ঃ উপ-মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ১ এপ্রিল ৷৷ ৩৬তম আগরতলা বইমেলা ২০১৮ আগামী ২ এপ্রিল থেকে আগরতলা শিশু উদ্যানে শুরু হচ্ছে৷ চলবে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত৷

আগরতলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে উপ মুখ্যমন্ত্রী৷ ছবি- নিজস্ব৷

বইমেলার প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত৷ আজ আগরতলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা বইমেলা কমিটির চেয়ারম্যান যীষ্ণু দেববর্মা এবারের বইমেলার যাবতীয় প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে জানান, জ্ঞানের মেলা – প্রাণের মেলা ৩৬তম আগরতলা বইমেলার উদ্বোধন হবে আগামী ২ এপ্রিল৷ বিকেল ৫টায় রাজ্যপাল তথাগত রায় বইমেলার আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন৷ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মার সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ৷ এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র প্রফুল্লজিৎ সিন্হা ও পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট লেখিকা তিলোত্তমা মজুমদার৷ সাংবাদিক সম্মেলনে উপমুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেববর্মা জানান, মিশ্র সংসৃকতির এই রাজ্যে জাতি উপজাতির ঐতিহ্যময় সংসৃকতির আরও প্রসার ও প্রচারের লক্ষ্যে এবারের বইমেলার তিম হচ্ছে রাজ্যের  বৈচিত্রময়য় সংসৃকতি৷ তিনি জানান, এবারের বইমেলা থেকে আরও দুটি নতুন পুরস্কার চালু করা হয়েছে৷ এই দুটো পন্ডিত জীনদয়াল উপাধ্যায় ন্যাশনাল ইন্টিগ্রেশন পুরস্কার ও কালী কিঙ্কর দেববর্মা স্মৃতি পুরস্কার৷ সামাজিক ক্ষেত্রে বিশেষ আবেদনের জন্য পন্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় ন্যাশনাল ইন্টিগ্রেশন পুরস্কার ও ক্লাসিকেল মিউজেকে বিশেষ অবদানের জন্য কালী কিঙ্কর দেববর্মা স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হবে৷ তাছাড়াও গতবারের ন্যায় অন্যান্য পুরস্কারগুলি থাকবে৷ তিনি আডও বলেন, আগামী দিনে বইমেলাকে আরও বেশি করে আকর্ষনীয় ও উপযোগী করে তোলা হবে৷ বিশেষ করে যুব সম্প্রদায় যাতে বইমেলার প্রতি আরও বেশি আকর্ষিত হয়৷ পাশাপাশি বইকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে উদ্যোগ নেওয়া হবে৷ সাংবাদিক সম্মেলনে উপ মুখ্যমন্ত্রী জানান, বইমেলা প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে৷ তাছাড়া ছুটির দিনে দুপুর ১ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে৷ এবারের বইমেলাতে মোট ১২৪টি স্টল থাকবে৷ এদের মধ্যে ত্রিপুরা থেকে ৭৬টি, কলকাতা থেকে ৩৯টি, নতুন দিল্লী থেকে ২টি, গুয়াহাটি থেকে ৫টি, মুম্বাই থেকে ১টি ও বাংলাদেশ থেকে ১টি করে স্টল থাকছে৷ বইমেলাতে সমস্ত বইয়ের উপর প্রকাশকদের পক্ষ থেকে ১০ শতাংশ করে ছাড় দেওয়া হবে৷ এছাড়া রবীন্দ্র পুরস্কার ও সলিল কৃষ্ণ দেববর্মা পুরস্কার প্রাপ্ত বইয়ের উপর প্রকাশকদের পক্ষ থেকে ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে৷ অন্যান্য বছরের মতো এবারের বইমেলায়ও থাকছে আলোচনাচক্র, কবি সম্মেলন, ক্যুইজ, গ্রন্থ প্রকাশ, সাংসৃকতিক ও অন্যান্য অনুষ্ঠান৷ সাংসৃকতিক অনুষ্ঠান হবে ১২ দিন৷ এর মধ্যে উদ্বোধনী ও সমাপ্তি দিনে সাংসৃকতিক অনুষ্ঠান হবে শিশু উদ্যানে৷ বাকি ১০ দিন হবে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের দ্বিতীয় প্রেক্ষাগৃহে৷ এই সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে তথ্য ও সংসৃকতি দপ্তরের সচিব এম এল দে, অধিকর্তা বিষ্ণুপদ দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলনে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *