আগরতলা, ১ এপ্রিল ৷৷ ওড়িশার কৃষ্টি ও সংসৃকতি জগৎ বিখ্যাত৷ এখানকার ওডিসি নৃত্য অতীব সুন্দর৷ এ রাজ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমানে খনিজ সম্পদ ও উন্নত পর্যটন শিল্প৷ পর্যটন শিল্প ওড়িশাকে পৃথিবীর কাছে তুলে ধরেছে৷ এখানকার জগন্নাথ ও কোনার্ক মন্দির বিশ্ববিখ্যাত৷ এই রাজ্যকে দেশের মধ্যে এক শ্রেষ্ঠ রাজ্য হিসেবে গড়ে তুলতে ওড়িশাবাসীর একটা ভূমিকা রয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেব আজ আগরতলার মুক্তধারা হলে ও এনজিসি ত্রিপুরা অ্যাসেট ও ওড়িয়া সমাজ ত্রিপুরার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত উৎকল দিবস এবং ওড়িশা উৎসবের উদ্বোধন করে একথা বলেন৷ প্রদীপ জ্বেলে এই উৎসবের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৩৬ সালে এ রাজ্য গঠিত হলেও আগে এ রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের অন্তর্ভুক্ত ছিলো৷ যারা এই রাজ্য গঠনে অবদান রেখেছিলেন তাদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওড়িশা কেবল পুরী ও কোনার্কের জন্য বিখ্যাত নয়৷ বহু কিছুর জন্য ওড়িশা আজ বিখ্যাত৷ জগন্নাথ রথ দেখতে এখানে দুনিয়ার লাখো ভক্তের ভিড় হয়৷ এটাই ওড়িশা, ওটাই ভারত৷ যা চিন, আমেরিকা, ফ্রান্স, জাপান ও রাশিয়ায় দেখা যায় না৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গ্রীসের আলেকজান্ডার হোন কিংবা ফ্রান্সের নেপোলিয়ন – তাঁরা বিশ্বজয় করতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু তারা শান্ত হয়নি৷ সম্রাট অশোক ওড়িশার কলিঙ্গ জয় করে শান্তি ও অহিংসার পথে আসেন ও বুদ্ধ ধর্ম গ্রহণ কদ্দেরন৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের চার ধাম রয়েছে – কেদারনাথ, দ্বারকা, জগন্নাথ ও রামেশ্বরম৷ আধুনিক ভারতের প্রশাসনেও ওড়িশার বড় ভূমিকা রয়েছে৷ তাই ত্রিপুরা ও ওড়িশাকে এক দিসায় চলতে হবে৷ আমরা ৩ বছরে ত্রিপুরাকে এক নতুন দিশায় নিয়ে যাবো৷ এজন্য আপনাদের আশীর্বাদ চাই৷ এছাড়া বক্তব্য রাখেন ওএনজিসি ত্রিপুরার অ্যাসেট ম্যানেজার জে কে সিংহ রায়৷ স্বাগত ভাষণ দেন উড়িয়া সমাজ ত্রিপুরা সংস্থার সহ-সভাপতি ড শরৎ কুমার দাস৷ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সহ বিশিষ্টজনেদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়৷ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেব সংস্থার চকাদোলা স্মরণিকার আবরণ উন্মোচন করেন৷ অনুষ্ঠানে সংস্থার সম্পাদক রবীন্দ্র কুমার মহাপাত্র উপস্থিত ছিলেন৷ সভাপতির ভাষণে ওড়িয়া সমাজ ত্রিপুরার সভাপতি বিষ্ণুচরণ পতি সংস্থার বার্ষিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন৷ তিনি বলেন, সারা দেশে ও বহির্বিশ্বে এই উৎসব প্রতিবছর আয়োজন করা হয়৷ আমরা চাই রাজ্য সরকার পুরীতে একটি ত্রিপুরা ভবন গড়ে তুলুন৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর আয়োজিত হয় ওড়িয়া সমাজের বর্ণময় সাংসৃকতিক অনুষ্ঠান৷
2018-04-02