নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ জানুয়ারী৷৷ দেশের শীর্ষ আদালতের চার প্রবীণ বিচারপতির সাংবাদিক সম্মেলনে যে আভ্যন্তরীণ সমস্যা সামনে এসেছে তা দ্রুত সমাধান চাইছে বার কাউন্সিল অফ ত্রিপুরা৷ এই সমস্যা দ্রুত সমাধানের মাধ্যমেই চলুক আদালত তাও চাইছেন কাউন্সিলের সদস্যরা৷ তা না হলে দেশের মানুষের কাছে বিচার ব্যবস্থা নিয়ে ভূল বার্তা যাবে, মনে করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আইনজীবী পীযুষ কান্তি বিশ্বাস৷
সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে বার কাউন্সিল অফ ত্রিপুরার চেয়ারম্যান আইনজীবী পীযুষ কান্তি বিশ্বাস বলেন, সুপ্রিম কোর্টের চার প্রবীণ বিচারপতির সাংবাদিক সম্মেলনে উল্লেখিত বিষয়গুলি দেশের শীর্ষ আদালতের আভ্যন্তরীণ বিষয়৷ এতে কারোর মন্তব্য করার এক্তিয়ারও নেই এবং বাঞ্ছনীয় নয়৷ তাঁর মতে, অবিলম্বে সমস্ত সমস্যার সমাধান হউক এটাই মূল বিষয়৷
তিনি আরও বলেন, বিভিন্নজন শীর্ষ আদালতের বিষয়গুলি নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করতে পারেন৷ বিভিন্নভাবে বিষয়গুলি ব্যাখ্যাও করছেন৷ কিন্তু, আদালতের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে মতামত না প্রকাশ করে দ্রুত সমস্যার সমাধান হওয়াই কাম্য৷ তা না হলে বিচার ব্যবস্থা নিয়ে দেশের মানুষের কাছে ভুল বার্তা পৌছাবে৷
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের চার প্রবীণ বিচারপতির বিস্ফোরক মন্তব্য এবং সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে যে সব তথ্য প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন তা নিয়ে রাজ্যের বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্তদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে৷ আদলত চত্বরে বর্তমানে এটি এখন অবসর সময়ে চর্চার মূল বিষয়৷ আইনজীবীরা নিজেদের মত করে বিষয়গুলির ব্যাখ্যাও করছেন৷ ফলে, উদ্ভূত এই পরিস্থিতিতে বার কাউন্সিল অফ ত্রিপুরা এদিন নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন৷
ত্রিপুরা বার কাউন্সিলের সচিত্র ভোটার তালিকা প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ জানুয়ারি৷৷ সচিত্র ভোটার তালিকা প্রকাশ করল বার কাউন্সিল অপ ত্রিপুরা৷ এবিষয়ে সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আইনজীবী পীযুষ কান্তি বিশ্বাস বলেন, ভোটার তালিকা সংক্রান্ত নির্দিষ্ট নিয়মাবলী সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়েছিল৷ সে মোতাবেক আজ সচিত্র ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে৷ সারাদেশেই আজকেই সমস্ত বার কাউন্সিল ভোটার তালিকা প্রকাশ করছে৷
তিনি জানান, সারা রাজ্যে ১০০৭ জন ভোটার রয়েছেন৷ তবে, নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা ১২৯১ জন৷ তিনি জানান, গত বছর পেশার সাথে যুক্ত নন এমন অনেক আইনজীবীদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে৷ তাই ১০০৭ জন আইনজীবী সারা রাজ্যে ভোট দিতে পারবেন৷ তিনি আরো জানান, আগরতলা, উদয়পুর, বিশালগড়, সাব্রুম, সোনামুড়া, খোয়াই, ধর্মনগর এবং কৈলাশহরে ভোট গ্রহণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে৷ শ্রী বিশ্বাস বলেন, বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা দেবে৷ ধারণা করা হচ্ছে, মার্চের অন্তিম সপ্তাহে কিংবা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে৷ এদিকে রিটার্নিং অফিসারের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে৷ বিশেষত, উচ্চ আদালতের মুখ্য বিচারপতি রিটার্নিং অফিসার হন৷ তিনি না হতে চাইলে তাঁর পরবর্তী কোন বিচারপতিকে রিটার্নিং অফিসার বানানো হয়৷ যদি এক্ষেত্রেও বিচারপতি রিটার্নিং অফিসার হতে না চান তাহলে বহিঃরাজ্য থেকে রিটার্নিং অফিসার আনা হয়৷