তিরুঅনন্তপুরম, ২৭ আগস্ট (হি.স.) : গত ৭ আগস্ট বিজেপি ও আরএসএস সমর্থকদের হাত থেকে রাখী পরে বিপাকে কেরলের চার পুলিশকর্মী। ডিউটিরত অবস্থায় রাখী পরানোয় অনুমতি দিয়ে বদলি হতে হল নারুভামুড়ু থানার এক সাব-ইন্সপেক্টর সমেত চার পুলিশকর্মীকে | তাদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়েছে ।
খবরে প্রকাশ, গত রাখী বন্ধনের দিন নারুভামুড়ু থানার এক সাব-ইন্সপেক্টর সমেত চার পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে স্থানীয় বিজেপি ও আরএসএস সমর্থকদের কাছ থেকে রাখী পরার অভিযোগ ওঠে। এই প্রেক্ষিতে বিভাগীয় তদন্তর নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই চারজনকে পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বদলি করা হয়।
এক শীর্ষ পুলিশকর্তা জানান, ডিউটিরত অবস্থায় রাখী পরানোয় অনুমতি দিয়ে এই চারজন কর্তব্যে গাফিলতির পরিচয় দিয়েছেন। ওই কর্তা যোগ করেন, ওই চার পুলিশকর্মীর উচিত ছিল রাখীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা। পাশাপাশি, পুলিশের উচিত নয় কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রতি আনুগত্য দেখানো বলেও মনে করিয়ে দেন ওই কর্তা।
শুধু কেরল নয় এই ধরনের বিধিনিষেধ ছিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ওপরও | তাই তো সেদিন কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে রাখী পরাতে গিয়ে হতাশ হতে হয়েছিল বিজেপি নেত্রী লকেট ও তাঁর মহিলাসঙ্গীদের | গত ৭ লকেট সহ মহিলা বিজেপি সমর্থকরা রাখী উৎসব পালন করতে যান লালবাজার কলকাতা পুলিশের সদর দফতরে, কিন্তু তাঁদের গেটে ঢুকতেই দেওয়া হইনি, এবং পুলিশ কর্মীসহ পুলিশের কর্তারাও রাখী পরতে অস্বীকার করেন। তাঁরা পরিস্কার বলেছেন, রাখী পরায় তাঁদের বারণ রয়েছে। কেন বারণ, তার কোনও উত্তর কিন্তু দিতে পারেননি তাঁরা।
যা নিয়ে লকেট বলেন” ভাতৃত্বের বন্ধন হিসাবে পুলিশকর্মীদের রাখী পরাতে গিয়েছিলাম। পুলিশের আগে তাঁরা তো সাধারণ মানুষ। বাংলা কেন এখন ভারতবর্ষের অন্যতম উৎসব এই রাখীবন্ধন। তাকে কী করে অস্বীকার করা হয় আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে ঢুকছে না। রাখীর সঙ্গে রাজনীতির কী সম্পর্ক রয়েছে। জীবনের সবকিছুতে রাজনীতি জড়ালে যা হয়, পশ্চিমবাংলার এখন সেই অবস্থাই হয়েছে। এটা মোটেই বাংলার সংস্কৃতির ক্ষেত্রে ইতিবাচক নয়”।–