নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ আগষ্ট৷৷ ত্রিপুরায় শুকিয়ে যাওয়া দিদির জোড়া ঘাসফুল পুণরুজ্জীবিত করতে এবারে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ ছয়জন বিধায়ক বহিস্কার হওয়ার পর নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করে শনিবার রাজ্য সফরে আসেন পর্যবেক্ষক সব্যসাচী দত্ত৷ সাংগঠনিক দূর্বলতী তৈরী হলেও
বিধানসভা ভোটের মুখে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়৷ ৩৪ বছর পর কলকাতায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জীর হাত ধরে সরকার বদল হয়েছে৷ রাজ্যের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় দলবদল করলেও নেতারা ‘মা-মাটি-মানুষ’কে ভরসা করেন বলে দাবি করেছেন সব্যসাচী দত্ত৷ জয়নগরে প্রদেশ তৃণমূলের কার্য্যালয়ে দুলাল দাস, বিপ্লব কর, পান্না দেব’দের নিয়ে বৈঠক শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখী হয়ে বামেদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি৷ বামফ্রন্টের শাসনে গণতন্ত্র বিপন্ন৷ ত্রিপুরায় দলত্যাগী নেতাদের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি৷ ছয় শতাংশ ভোটে জাতীয় দলের স্বীকৃতি পাওয়া তৃণমূল কংগ্রেস হাইকমান্ড ত্রিপুরা নিয়ে যথেষ্ট সিরিয়াস বলেও জানিয়েছেন সব্যসাচী দত্ত৷ বামেদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক দূর্বলতা, কর্মী স্বল্পতা জিইয়ে রেখেই মূল প্রতিপক্ষের দাবি করেছেন তিনি৷ জোড়া ঘাসফুল ছেড়ে সমস্ত প্রথম সারির নেতারা পদ্মবনে মিশে গিয়েছেন৷ পশ্চিমবাংলার দিদির শাসনকালের জয়গান গেয়ে কর্মীদের অক্সিজেন দেওয়ার চেষ্ঠা কতটা সফল হবে? জনগণের বিশ্বাস অর্জন করতে পারবে কি সব্যসাচী দত্তরা? হাজারো প্রশ্ণের ঝড় বইছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলে৷
2017-08-06

