ফরিদাবাদে চলন্ত ভ্যানে গণধর্ষণ, দু’ঘণ্টা ধরে নির্যাতনের পর রাস্তায় ফেলে দেওয়া হল যুবতীকে

ফরিদাবাদ, ৩১ ডিসেম্বর:
ফরিদাবাদে ভয়াবহ এক ঘটনার সামনে এসেছে। ২৮ বছর বয়সি এক বিবাহিত মহিলাকে প্রায় দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলন্ত ভ্যানে গণধর্ষণ করার পর মঙ্গলবার ভোররাতে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার ভোরের মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। ওই মহিলা রাতে বাড়ি ফেরার জন্য একটি গাড়ির অপেক্ষায় ছিলেন। সেই সময় একটি ভ্যান এসে দাঁড়ায়। ভেতরে থাকা দুই যুবক তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভ্যানে তোলে। কিন্তু গাড়িটি বাড়ির দিকে না গিয়ে গুরুগ্রাম রোডের দিকে চলে যায়।

অভিযোগ, প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা ধরে ভ্যানের মধ্যেই তাঁকে লাগাতার ধর্ষণ করা হয়। তিনি বাধা দিতে গেলে অভিযুক্তরা তাঁকে ভয় দেখায় ও হুমকি দেয়।

ভোর প্রায় ৩টা নাগাদ, এসজিএম নগরের রাজা চক এলাকার কাছে চলন্ত ভ্যান থেকেই তাঁকে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তিনি রাস্তায় পড়ে যান। তাঁর মুখে মারাত্মক আঘাত লাগে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।

ঘটনার সময় বারবার তিনি তাঁর দিদির ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। পরে দিদি ফোন করলে পুরো ঘটনা জানতে পারেন। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসকদের মতে, তাঁর মুখে ১০ থেকে ১২টি সেলাই দিতে হয়েছে।

বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও তিনি মানসিকভাবে গভীর ধাক্কায় রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত তাঁর পূর্ণাঙ্গ জবানবন্দি নেওয়া সম্ভব হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

অভিযোগে ভুক্তভোগীর দিদি জানান, ঘটনার আগের দিন রাত প্রায় ৮টা ৩০ মিনিটে ওই মহিলা তাঁকে ফোন করে বলেন, মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার পর তিনি এক বন্ধুর বাড়িতে যাচ্ছেন এবং তিন ঘণ্টার মধ্যে ফিরে আসবেন। কিন্তু এরপরই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, নির্যাতিতা বিবাহিত, তাঁর তিনটি সন্তান রয়েছে এবং পারিবারিক বিবাদের কারণে তিনি স্বামীর থেকে আলাদা থাকতেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অপরাধে ব্যবহৃত ভ্যানটিও উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

Leave a Reply