ঢাকা, ৩০ নভেম্বর : বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রবিবার তার দল বিএনপি এ তথ্য জানায়। ২৩ নভেম্বর তীব্র বুকে সংক্রমণজনিত জটিলতার কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক ও দলীয় সূত্র অনুযায়ী, সংক্রমণ তার হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।
তার শারীরিক অবস্থার অবনতি এমন সময়ে ঘটছে যখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং বিএনপি আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও খালেদার পুত্র তারেক রহমান, যিনি ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে স্বেচ্ছা নির্বাসনে রয়েছেন, শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন—
“বাংলাদেশে আমার ফেরাটা সম্পূর্ণ আমার নিয়ন্ত্রণে নেই।”
এই মন্তব্যে তার দেশে ফেরার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বা আইনি বাধা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। তবে কয়েক ঘণ্টা পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনুস–এর দপ্তর জানান,
“তারেক রহমানের দেশে ফেরায় কোনও বাধা বা আপত্তি নেই।”
এ তথ্য ফেসবুকে প্রকাশ করেন ইউনুসের প্রেসসচিব শফিকুল আলম।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতিতে বিএনপির অভ্যন্তরে কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। দলটি ২০১৪ ও ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচন বর্জন করেছিল। তবে গত আগস্ট থেকে বিএনপির জনপ্রিয়তা বাড়ছে এবং পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দলটিকে সম্ভাব্য বড় শক্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ এবং দলীয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিদেশে অবস্থান করায় বিএনপির সামনে এখন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে।
দলীয় নেতারা জানান, “দেশের এই রাজনৈতিক পরিবর্তনের সময়ে ম্যাডামের এমন অসুস্থ হওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক এবং চ্যালেঞ্জিং।”
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে দেশজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে। চিকিৎসকদের মতে আগামী কয়েক দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
______

