আগরতলা, ৫ নভেম্বর: খোয়াই তেলিয়ামুড়া সড়ক সম্প্রসারণের কাজে দিনের পর দিন নানান প্রকারের ঘোটালার অভিযোগ সামনে আসছে।
এরই প্রতিবাদে আজ জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ বাঁধা প্রদান করলেন স্থানীয়রা। ঘটনা স্থলে পৌঁছান মহকুমা শাসক। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে।
তেলিয়ামুড়ার ইচারবিল সহ বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের অভিযোগ হচ্ছে, নিয়ম অনুযায়ী রাস্তার কাজ করতে গিয়ে যেভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা সেখানে সাধারণ মানুষ’কে প্রতারণা করা হচ্ছে। শুধু তাই না, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ হচ্ছে, খোয়াই জেলার এক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার সাথে যোগ সাজোষ করে অমিত দাস, রঞ্জিত ভৌমিকের মতো তহশীল দার সহ বিভিন্ন স্তরের কর্মীরা দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে চলেছে।
সাধারণ মানুষের একাংশের অভিযোগ হচ্ছে, বিভিন্ন স্তরের তহশিল দার’রা সরাসরি দাবি করছেন, যদি ক্ষতিপূরণের টাকার জন্য বকশিশ দিতে হবে সকল স্তরের কর্মীদের।
অভিযোগের শেষ নেই, একাংশের অভিযোগ হচ্ছে সংস্কারের নামে বাড়ি ভাঙ্গা হলো অথচ ক্ষতিপূরণের টাকা বাড়ির মালিক’কে না দিয়ে ভাড়াটিয়া’কে দিয়ে দেওয়া হয়েছে, এরপর সেই টাকার ভাগ একেবারে স্তর বেঁধে তহশিলদার থেকে শুরু করে জেলার উচ্চ পর্যায়ের ওই আধিকারিক পর্যন্ত পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।
স্বাভাবিকভাবেই এই সমস্ত ঘটনা গুলো যখন সাধারণ মানুষের সামনে আসছে, মানুষ প্রতিবাদ করছে এবং রাস্তার কাজ বাঁধা প্রাপ্ত হচ্ছে। ঠিক যেমনটা হয়েছে বুধবার ইচারবিল এলাকাতেও। বুধবার যখন ইচারবিল এলাকাতে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ বাঁধা প্রাপ্ত হয় তখন মহকুমা শাসক নিজে ঘটনাস্থলে আসেন এবং গোটা ঘটনা সম্পর্কে অভিযোগ শুনেন।
এটুকু উল্লেখ করা প্রয়োজন সার্বিক উন্নয়নের প্রশ্নে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে ভালো কথা, তবে দিনের পর দিন বা বহুদিন ধরে জেলার ওই উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে এই প্রকারের অভিযোগ ও নানান প্রকারের অভিযোগ থাকলেও সর্ষের মধ্যে ভূত’কে রেখেই যখন কাজ এগিয়ে চলেছে তখন কিন্তু ২ নম্বরী নয়, ১৪ নম্বরী কাজ হতে পারে আশঙ্কা কিন্তু করছেন এলাকাবাসী।

