নয়াদিল্লি, ৪ নভেম্বর : ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দেশের মধ্যে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে সাইবার অপরাধ এবং বিশেষ করে “ডিজিটাল অ্যারেস্ট” নামে পরিচিত প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আদালত জানায়, এই অপরাধের কারণে এখন পর্যন্ত ৩,০০০ কোটি টাকারও বেশি পরিমাণ অর্থ মানুষের থেকে প্রতারণা করে নেয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেক সিনিয়র সিটিজেনও অন্তর্ভুক্ত। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টভাবে বলেছে যে, যদি সময়মতো কঠোর পদক্ষেপ না নেয়া হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
এটি একটি স্বতঃস্ফূর্ত মামলা, যা বিচারপতি সূর্যকান্ত, বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঁইয়া এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর একটি বেঞ্চ শুনানির সময় জানায়। এই মামলা সংশ্লিষ্ট প্রতারণামূলক চক্রগুলোর সঙ্গে, যারা পুলিশের বা বিচারক কর্মকর্তাদের পরিচয়ে মিথ্যা আদালতের আদেশ দেখিয়ে এবং ডিজিটাল মাধ্যমে “গ্রেপ্তার” করার হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করে।
আদালতকে জানানো হয়েছে যে, এই প্রতারক চক্রগুলি শুধু ভারতেই নয়, বরং মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডের মতো বিদেশি দেশ থেকেও পরিচালিত হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাইবার ক্রাইম ডিভিশন এবং সিবিআই তাদের সিলবন্দী রিপোর্টে জানিয়েছে যে, এই আন্তর্জাতিক চক্রগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে জানিয়েছেন যে, সিবিআই ইতোমধ্যে একাধিক মামলার তদন্ত শুরু করেছে, যেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রযুক্তিগত সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। আদালত এই মামলায় একটি আমিকাস কিউরি (আদালত সহায়ক) নিয়োগ করেছেন এবং আগামী শুনানি ১০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
আগের শুনানিতে, আদালত সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে যে, তারা যেন সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত মামলা এবং এফআইআর সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করে। আদালত আরও বলেছেন যে, যদি প্রয়োজন হয়, তবে সারা দেশের বা সীমান্ত পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়া এই অপরাধের তদন্ত সিবিআইয়ের কাছে সঁপে দেওয়া হতে পারে।

