বোকো শহরে দুধের ভেজাল: বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য বিপদ, সঠিক তদন্তের দাবি

কামরূপ, ৩ নভেম্বর : একদিনের সাধারণ চায়ের কাপ থেকে বোকো শহরে এক বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য বিপদের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি, বোকো শহরের কয়েকটি চায়ের দোকান এবং হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষতিকর রাসায়নিক মিশ্রিত সেন্টথেটিক দুধ ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। এই চাঞ্চল্যকর বিষয়টি সামনে আসে একটি ছাত্র সংগঠনের তদন্তে, যেখানে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, দীর্ঘ তিন বছর ধরে স্থানীয় হোটেলগুলোর মধ্যে ভেজাল দুধ সরবরাহ করা হচ্ছিল।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুই ব্যক্তি, যারা চামরিয়া অঞ্চলের বাসিন্দা, তারা এই ভেজাল দুধের মিশ্রণ সরবরাহ করছিলেন বোকো শহরের চায়ের দোকান এবং হোটেলগুলিতে। এই মিশ্রিত দুধের দাম ছিল ২৫-৩০ প্রতি লিটার, যা আসল দুধের দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছিল। স্থানীয়রা জানান, হোটেল মালিকরা জানতেন এই ভেজাল দুধের ব্যাপারে, কিন্তু লাভের জন্য তারা তা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

তদন্তকারীদের অভিযোগ, হোটেল মালিকরা দাবি করেন যে, নিয়মিত ল্যাকটোমিটার পরীক্ষা করে দুধের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করা হয়, কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের পরীক্ষা শুধু দুধের জলীয় উপাদান পরীক্ষা করতে সক্ষম, যা রাসায়নিক বা সিনথেটিক উপাদান শনাক্ত করতে পারে না।

এরপর, বোকো শহরের আশেপাশে কিছু মিষ্টির দোকানে স্বাস্থ্যবিধির গুরুতর অবহেলা পাওয়া গেছে। সেখানে মিষ্টির জন্য ব্যবহৃত উপকরণ খোলামেলা অবস্থায় রাখা হচ্ছিল, পোকামাকড়ে ভরা ছিল, এবং মিষ্টি তৈরির সময় শ্রমিকরা স্যানিটারি উপকরণ ছাড়াই কাজ করছিলেন।

এখন, স্থানীয় নাগরিক গোষ্ঠী ও ছাত্র সংগঠনগুলি একজোট হয়ে এই ভেজাল খাদ্যদ্রব্য সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। জনগণের মধ্যে ভয় দেখা দিয়েছে, কারণ দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল দুধ খাওয়ার ফলে পেটের অসুখ, ক্যানসার বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। তাই, তারা প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার তদন্ত এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।

এছাড়া, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত তদন্ত শুরু করার এবং আগামী দিনগুলিতে এরকম ভেজাল খাদ্যদ্রব্যের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।