পালক বে-এ ভারতীয় মৎস্যজীবীদের গ্রেফতার, শ্রীলঙ্কান নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ

চেন্নাই, ৩ নভেম্বর : শ্রীলঙ্কান নৌবাহিনী সোমবার তামিলনাড়ুর ৩৫ জন মৎস্যজীবীকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জলসীমা (আইএমবিএল) অতিক্রম করে শ্রীলঙ্কার আঞ্চলিক জলসীমায় মাছ ধরার অভিযোগ রয়েছে।

সরকারি সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোরে শ্রীলঙ্কার উত্তরাঞ্চলে তিনটি ভারতীয় মেকানাইজড মাছ ধরার নৌকা আটক করা হয়। শ্রীলঙ্কান নৌবাহিনী কর্তৃক এ ধরনের অভিযান চালানোর সময় নৌকাগুলি উপকূলের কাছে মাছ ধরছিল। আটককৃত নৌকাগুলি, তাদের মাছ ধরার সরঞ্জাম ও ধরা পড়া মাছও জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৩১ জন নাগাপট্টিনম জেলার, যাঁরা গতকাল রাতে আক্রিপেট্টাই ও থপ্পুতুরাই হারবার থেকে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন। বাকিরা রামনাথপুরম জেলার বাসিন্দা।

গ্রেফতারকৃত মৎস্যজীবীদের শ্রীলঙ্কার কঙ্কেসান্থুরাই বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তাদের সাথে প্রথমিক তদন্ত করা হচ্ছে এবং শীঘ্রই স্থানীয় আদালতে তাদের পেশ করা হবে। পাশাপাশি, আটক নৌকাগুলি জাম্বনা মৎস্য বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ঘটনা তামিলনাড়ুর উপকূলীয় অঞ্চলের মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। আটককৃত মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যরা তামিলনাড়ু ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দ্রুত কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন।

এদিকে, মৎস্যজীবী সংগঠনগুলি শ্রীলঙ্কান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “এ ধরনের ঘটনা একাধিকবার ঘটছে। ভারত সরকার শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথ পেট্রোলিং এবং স্পষ্ট সীমান্ত নির্ধারণের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।”

এই গ্রেফতারি তামিলনাড়ুর উপকূলীয় অঞ্চলে মৎস্যজীবীদের জীবিকার জন্য বড় একটি সংকট সৃষ্টি করেছে, যা ভারতের শ্রীলঙ্কা মৎস্যবিরোধের দীর্ঘস্থায়ী এবং জটিল প্রকৃতিকে আবারও তুলে ধরছে।