পাটনা, ২০ অক্টোবর: বিহারের গোপালগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সাইবার প্রতারণা চক্রের হদিস পেল পুলিশ। অভিযুক্ত এক প্রাক্তন চা বিক্রেতা এই চক্রের মূলচক্রী বলে দাবি পুলিশের। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ১ কোটি ৫ লক্ষাধিক টাকার নগদ অর্থ, বিপুল পরিমাণ সোনা-রূপো এবং ব্যাংকের একাধিক নথি। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুই ভাইকে।
সূত্রে জানা গিয়েছে, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) গভীর রাতে আমৈথি খুরদ গ্রামে হানা দেয় সাইবার পুলিশের দল। তল্লাশিতে উদ্ধার হয় ১,০৫,৪৯,৮৫০ টাকা নগদ, ৩৪৪ গ্রাম সোনা, ১.৭৫ কেজি রূপো, ৮৫টি এটিএম কার্ড, ৭৫টি ব্যাংক পাসবই, ২৮টি চেকবই, দুইটি ল্যাপটপ, তিনটি মোবাইল ফোন এবং একটি বিলাসবহুল গাড়ি।
সাইবার ডিএসপি অবন্তিকা দিলীপ কুমার জানান, অভিযুক্ত অভিষেক কুমার আগে চা বিক্রি করতেন। পরে তিনি সাইবার প্রতারণার জগতে জড়িয়ে পড়েন এবং কিছুদিন পর দুবাইয়ে চলে যান। সেখান থেকেই তিনি নেটওয়ার্কটি পরিচালনা করতেন বলে ধারণা। ভারতে লেনদেন ও অর্থ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল তার ভাই, অভিযুক্ত আদিত্য কুমার।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই চক্রটি দেশের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রতারণার অর্থ স্থানান্তর করে পরে নগদে রূপান্তর করত। অধিকাংশ ব্যাংক পাসবই বেঙ্গালুরু থেকে ইস্যু করা হয়েছিল, যা দেখে তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই জালিয়াতি নেটওয়ার্কের সূত্র রাজ্যের বাইরেও বিস্তৃত।
ঘটনার পর আয়কর দফতর ও এন্টি-টেররিজম স্কোয়াড তদন্তে নেমেছে। তারা উদ্ধার হওয়া অর্থের উৎস ও সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক যোগসূত্র খতিয়ে দেখছে।
ডিএসপি অবন্তিকা বলেন, “গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আমরা বিপুল নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার ও ব্যাংক নথি উদ্ধার করেছি। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তদন্ত চলছে।”
পুলিশের ধারণা, এই সাইবার চক্রের শাখা গোটা দেশ জুড়ে বিস্তৃত, এবং আরও কয়েকজন অভিযুক্তের সন্ধানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

