স্বাধীনতা দিবসে ঘোষিত পরবর্তী প্রজন্মের জিএসটি সংস্কার বাস্তবায়িত, স্বাস্থ্য বিমায় সম্পূর্ণ করমুক্তি ঘোষণা করল সরকার

নয়াদিল্লি, ১৪ সেপ্টেম্বর: স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পরবর্তী প্রজন্মের জিএসটি সংস্কারের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই ঘোষণার বাস্তব রূপ পেল চলতি মাসের ৩ তারিখ, যখন কেন্দ্র সরকার ৫৬তম জিএসটি কাউন্সিল বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ করছাড়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

সেদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানান, স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়ামে এতদিন ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি বসত, যা এখন থেকে সম্পূর্ণ করমুক্ত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে ২২শে সেপ্টেম্বর থেকে। এর ফলে এখন বিমা গ্রহণকারীরা শুধুমাত্র মৌলিক প্রিমিয়ামের টাকাই দেবেন।

এই পদক্ষেপে প্রবীণ নাগরিক ও অবসরপ্রাপ্তদের সবচেয়ে বেশি উপকার হবে বলে মনে করা হচ্ছে, যারা অতিরিক্ত প্রিমিয়ামের কারণে স্বাস্থ্যবিমা নিতে দ্বিধাগ্রস্ত থাকেন। একই সঙ্গে, এটি দেশব্যাপী স্বাস্থ্য বিমার পরিধি বৃদ্ধি করবে এবং সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যয় হ্রাস পাবে।

সরকারের তরফ থেকে শুধু স্বাস্থ্য বিমাতেই নয়, বড়সড় করছাড় দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য খাতের অন্যান্য ক্ষেত্রেও। ক্যান্সার ও জটিল রোগে ব্যবহৃত ৩৬টি জীবন রক্ষাকারী ওষুধের উপর সম্পূর্ণ জিএসটি মুকুব করা হয়েছে। পাশাপাশি গজ, ব্যান্ডেজ, ডায়াগনস্টিক কিট, গ্লুকোমিটার, থার্মোমিটারের মতো বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রীর উপর কর কমিয়ে ১২ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা হেমন্ত রাই সিংঘানি এক সংবাদমাধ্যমকে জানান, “নতুন জিএসটি সংস্কারে সাধারণ মানুষ অনেকটাই উপকৃত হবেন। কর কাঠামোর সরলীকরণ সাধারন মানুষের জীবনে স্বস্তি আনবে।”

এই রূপান্তরমূলক জিএসটি সংস্কারের ফলে দেশের স্বাস্থ্যখাতে আর্থিক বোঝা কমবে, পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবার বিস্তার ও কার্যকারিতা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত “নেক্সট জেনারেশন জিএসটি রিফর্ম” ধীরে ধীরে বাস্তবায়নের পথে। সাধারণ নাগরিক, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও প্রবীণদের জন্য এই পদক্ষেপ এক ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা আগামী দিনে দেশের স্বাস্থ্যখাতকে আরও মজবুত করে তুলবে।