বেঙ্গালুরু, ১ আগস্ট : কর্ণাটকের মাইসুরুর কেআর নগরের এক গৃহকর্মীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় প্রাক্তন জেডিএস সাংসদ প্রজ্বল রেবান্নাকে শুক্রবার বিশেষ জনপ্রতিনিধি আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে।
মাত্র ১৪ মাসে মামলার বিচার সম্পন্ন হয়ে রায় ঘোষণা হয়েছে, যা নজিরবিহীন বলে মনে করা হচ্ছে। শনিবার এই মামলার সাজা ঘোষণা করবে আদালত। শুক্রবার রায় ঘোষণার পর আদালতকক্ষে কান্নায় ভেঙে পড়েন রেবান্না। আদালত ত্যাগের সময় তাঁকে আবেগপ্রবণ অবস্থায় দেখা যায়।
সাইবার ক্রাইম স্টেশন, ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)-এ এই মামলা নথিভুক্ত হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, অভিযুক্ত প্রজ্বল রেবান্না গৃহকর্মীকে ধর্ষণ করেন এবং সেই ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করেন। ভারতীয় দণ্ডবিধি (আইপিসি) ও তথ্যপ্রযুক্তি আইন, ২০০৮-এর একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়।
সিআইডির স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (এসআইটি) ইন্সপেক্টর শোভা-র নেতৃত্বে তদন্তে ১২৩টি প্রমাণ সংগ্রহ করা হয় এবং প্রায় ২০০০ পাতার বিশাল চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে মামলার শুনানি শুরু হয়। পরবর্তী সাত মাসে আদালত ২৩ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এবং ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (এফএসএল) রিপোর্টসহ অপরাধস্থলের স্পট ইনস্পেকশন রিপোর্ট পর্যালোচনা করে।
প্রজ্বল রেবান্না যেসব ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, সেগুলির মধ্যে আইপিসি ৩৭৬(২)(ক) ও ৩৭৬(২)(ন) ধারায় ন্যূনতম ১০ বছরের কারাদণ্ড, যা যাবজ্জীবন পর্যন্ত বাড়তে পারে। আইপিসি ৩৫৪(এ), ৩৫৪(বি) ও ৩৫৪(সি) ধারায় সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে। আইপিসি ৫০৬ ধারায় ছয় মাস পর্যন্ত এবং আইপিসি ২০১ ধারায় এক থেকে সাত বছর পর্যন্ত সাজার বিধান রয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬(ই) ধারায় সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। শনিবার আদালত রেবান্নার বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করবে।

