রাজ্যের ৩০টি ব্লক খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বনির্ভর: কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ জুলাই: রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর, কৃষকদের আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। বর্তমানে রাজ্যের মোট ৫৮টি ব্লকের মধ্যে ৩০টি ব্লক খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বনির্ভর হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রতন লাল নাথ।

বুধবার গোমতী জেলার রাইয়ারবাড়ি ও রোয়াবাড়ি এলাকায় তিনটি কর্মসূচিতে অংশ নেন মন্ত্রী। এর মধ্যে ছিল ফোটামাটি প্রাথমিক গ্রামীণ বাজারের উদ্বোধন, রাইয়ারবাড়িতে পাম অয়েল চাষ কর্মসূচি এবং রোয়াবাড়িতে ‘খাবাকসা’ এফপিসির উদ্যোগে আদা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের উদ্বোধন। এই দিন মন্ত্রী নিজে কৃষকদের সঙ্গে জমিতে নেমে ধান রোপণ করেন, যা কৃষকদের উৎসাহ জোগাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মন্ত্রী আজ উদয়পুর কিল্লা বিধানসভা এলাকার রাইয়াবাড়িতে কৃষকদের মধ্যে উন্নত মানের বিভিন্ন কৃষি সরঞ্জাম বিতরণ করেন এবং একটি এফপিসি গ্রুপকে একটি গাড়ি প্রদান করেন, যার মাধ্যমে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণ ও আমদানি-রপ্তানি সহজ হবে।

পরে কৃষিমন্ত্রী বলেন আমাদের রাজ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল। তাই কৃষিতে স্বনির্ভরতা মানেই রাজ্যের সার্বিক স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে চলা। সেই লক্ষ্যে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর দিনরাত কাজ করে চলেছে।
তিনি জানান, বর্তমানে রাজ্যের ৫৮টি ব্লকের মধ্যে ৩০টি ব্লক খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বনির্ভর।

মন্ত্রী আরও বলেন, কৃষিতে স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য কৃষি পরিকাঠামোর উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। সেই লক্ষ্যেই রাজ্য সরকার বিভিন্ন গ্রামীণ কৃষি বাজার ও নিয়ন্ত্রিত কৃষি বাজারগুলোর উন্নয়নে পরিকল্পিত উদ্যোগ নিচ্ছে।

মন্ত্রী জানান ভারতের মূল ভিত হল কৃষি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারবার বলেন কৃষি উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন অসম্ভব। তিনি চান ভারত হোক বিশ্বের খাদ্যভাণ্ডার। এক সময় আমেরিকা চাল-গম পাঠানো বন্ধ করলে আমাদের দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিত। আর এখন মোদীজির নেতৃত্বে আমরা অন্যান্য দেশে খাদ্যশস্য রপ্তানি করি।

তিনি জানান কৃষি শুধু ধানচাষ নয় মৎস্য ও পশুপালনও এর অন্তর্ভুক্ত। আজ আমরা চীন, ইউরোপ, আমেরিকা, জাপান সহ বিভিন্ন দেশে মাছ রপ্তানি করছি। ওমান, আরব দেশ, কাতারে ডিম রপ্তানি হচ্ছে। দুধ যাচ্ছে আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশে চাল, গম, চিনি, আদা, রসুন, মসলা রপ্তানি হচ্ছে। এখন ধান, মাছ, ডিম, দুধ এইসব বিষয়ে আমরা অনেকটাই স্বনির্ভর।”

মন্ত্রী আরো বলেন যে বর্তমান সরকার মানুষের চাহিদা প্রকাশের আগেই প্রয়োজনীয়তা বুঝে সাহায্য করে। বর্তমান সরকার রাজনীতির রঙ দেখে সুবিধা দেয় না। ২০১৮ সালের আগে কেউ ঘর, রাস্তা, জল সংযোগ এসব সহজে পায়নি। কিন্তু আজ সাধারণ মানুষ সরকারের সাহায্য পাচ্ছে। কৃষকদের পাম অয়েল চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে। জমি পরিষ্কার থেকে শুরু করে চারা উৎপাদনসবই করছে রাজ্য সরকার।