সিপিজিআরএএম-এর মে ২০২৫-এর ৩৪তম রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রিপোর্ট প্রকাশ: সফল অভিযোগ নিষ্পত্তির চারটি গল্প প্রকাশ

নতুন দিল্লি, ১৬ জুন : প্রশাসনিক সংস্কার ও জনঅভিযোগ দফতর সম্প্রতি কেন্দ্রীয় জন অভিযোগ প্রতিকার ও পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা (সিপিজিআরএএম)-এর ৩৪তম রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। মে ২০২৫ মাসের এই রিপোর্টে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের চারটি সফল অভিযোগ নিষ্পত্তির ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে, যা নাগরিকদের দ্রুত ও কার্যকর সেবা প্রদানের উদাহরণ হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।

মধ্যপ্রদেশের শ্রী রাজেশ চৌধুরী একাধিকবার জিএসটি রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করলেও তিন মাস ধরে তার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হচ্ছিল। যথাযথ উত্তর দেওয়ার পরও তার স্টার্টআপের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল জিএসটি নম্বরের অভাবে। সিপিজিআরএএম পোর্টালে অভিযোগ জানানোর পর সংশ্লিষ্ট আধিকারিক তার আবেদন খতিয়ে দেখে রেজিস্ট্রেশন অনুমোদন করেন এবং জিএসটি নম্বর ইস্যু করা হয়।

উত্তরপ্রদেশের বেয়ারিলির রাজেন্দ্র নগরের বাসিন্দা শ্রী পবন রাজপুত বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘনঘন বিঘ্নের শিকার হন। তার এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটির ত্রুটিপূর্ণ সংযোগের কারণে গ্রীষ্মকালে দুর্ভোগ বাড়ছিল। বিদ্যুৎ হেল্পলাইনে একাধিকবার অভিযোগ করেও সমাধান মেলেনি। সিপিজিআরএএম-এ অভিযোগ জানানোর পর কর্তৃপক্ষ সরেজমিন পরিদর্শন করে ত্রুটিপূর্ণ সংযোগ ঠিক করেন এবং ১৫ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়।

প্রয়াগরাজের কারেলির আইনুদ্দিনপুর এলাকার বাসিন্দা শ্রী ফয়জ মোহাম্মদ আয়্যুব তার বাড়ির চারপাশে জমে থাকা বৃষ্টির জল এবং আগাছা বৃদ্ধির কারণে সাপের উপদ্রব ও মশাবাহিত রোগের আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি সিপিজিআরএএম-এর মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, আগাছা অপসারণ ও মশা নিয়ন্ত্রণের দাবি জানান। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে এলাকা পরিষ্কার করে, আগাছা কাটে এবং মশানাশক ছিটিয়ে সমস্যার সমাধান করেন।

গুজরাটের ভাদোদরার উমরাই এলাকার বাসিন্দা শ্রীমতি শক্তরবেন সোলাঙ্কি তার জমির উপর দিয়ে গিয়ে থাকা ওভারহেড বিদ্যুৎ লাইনের কারণে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যার সম্মুখীন হন। স্থানীয় অফিসে অভিযোগ করেও সাড়া পাননি এবং লাইনের স্থানান্তরের জন্য ৫০০০-৬০০০ টাকা খরচ করতে বলা হয়। তিনি সিপিজিআরএএম-এ অভিযোগ জানানোর পর বিদ্যুৎ বিভাগ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখে এবং লাইনটি পাশের খুঁটিতে স্থানান্তর করে দেন।