সরকারি স্কুলে শ্রেণিকক্ষ নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে মনীষ সিসোদিয়া ও সত্যেন্দ্র জৈনকে তলব এসিবি-র

নয়াদিল্লি, ৪ জুন : দিল্লি সরকারের দুর্নীতি দমন শাখা (অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চ “এসিবি”) আম আদমি পার্টির প্রাক্তন মন্ত্রী মনীষ সিসোদিয়া এবং সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে সরকারি স্কুলে শ্রেণিকক্ষ নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে সমন জারি করেছে।

এসিবি সূত্রে খবর, প্রায় ২,০০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে তাঁদের তলব করা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, আপ সরকারের আমলে ১২,৭৪৮টি শ্রেণিকক্ষ বা আধা-স্থায়ী কাঠামো নির্মাণে চুক্তি দেওয়া হয়েছিল অতিরিক্ত ব্যয়ে। সত্যেন্দ্র জৈনকে আগামী ৬ জুন এবং মনীষ সিসোদিয়াকে ৯ জুন এসিবি-র অফিসে হাজির হতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার এই সমন জারি করা হয়েছে বলে এসিবি জানিয়েছে।

২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল এই দুই নেতার বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করেছে দুর্নীতি দমন শাখা। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, সরকারি স্কুলগুলিতে প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ নির্মাণে খরচ হয়েছে গড়ে ২৪.৮৬ লক্ষ টাকা, যা সাধারণ নির্মাণ খরচের প্রায় পাঁচ গুণ বেশি।

তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, নির্মাণ প্রকল্পটি ৩৪ জন ঠিকাদারকে দেওয়া হয়েছিল, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নাকি আপ-র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রকল্পটি ছিল আধা-স্থায়ী কাঠামোর যার স্থায়িত্ব ৩০ বছর। কিন্তু খরচ ধরা হয়েছিল আরসিসি কাঠামোর মতো, যার স্থায়িত্ব ৭৫ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে।

এছাড়াও, কোনও নতুন দরপত্র ছাড়াই প্রকল্পের খরচ ৩২৬ কোটি টাকা বাড়ানো হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, “গুরুত্বপূর্ণ ব্যয়ের বিচ্যুতি ও প্রকল্পে বিলম্ব লক্ষ্য করা গিয়েছে, কিন্তু একটিও কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি।”

দিল্লি সরকারের নজরদারি অধিদপ্তর ২০২২ সালে এই প্রকল্পে তদন্তের সুপারিশ করে একটি রিপোর্ট মুখ্যসচিবের কাছে জমা দেয়। চলতি বছরের মার্চে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু মনীষ সিসোদিয়া ও সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্তির অনুমোদন দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আপ বলেছে, “আমাদের নেতাদের উপর চাপ তৈরি ও ভয় দেখানোর জন্যই এই মামলা করা হয়েছে।”