তারণতারন, ৩ জুন — অপারেশন সিন্ধুর সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীর গতিবিধি সংক্রান্ত গোপন তথ্য পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (ISI)-এর কাছে সরবরাহ করার অভিযোগে পাঞ্জাব পুলিশের কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স শাখা মঙ্গলবার তারণতারন জেলা থেকে গগনদীপ সিং নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্ত গগনদীপ সিং পাকিস্তান-ভিত্তিক প্রো-খালিস্তান নেতা গোপাল সিং চাওলার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগে ছিল বলে জানিয়েছেন পাঞ্জাব পুলিশের ডিজি গৌরব যাদব।
ডিজি যাদব জানান, গ্রেপ্তারকৃত গগনদীপ সিং ওরফে গগন, রোদুপুর মহল্লার গলি নज़র সিং ওয়ালির বাসিন্দা। তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে, যাতে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার (PIOs) সঙ্গে ভাগ করা গোপন সামরিক তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া তার সংরক্ষিত তথ্যভাণ্ডারে ২০টিরও বেশি আইএসআই সংযোগের তথ্য রয়েছে।
এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে পাঞ্জাব ডিজি গৌরব যাদব লিখেছেন, “কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স-পাঞ্জাব থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে @TarnTaranPolice দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে গগনদীপ সিং ওরফে গগনকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পাকিস্তানের আইএসআই এবং গোপাল সিং চাওলার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিল এবং অপারেশন সিন্ধুর সময় সেনা গতিবিধি সংক্রান্ত গোপন তথ্য সরবরাহ করছিল।”
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, গত পাঁচ বছর ধরে গগনদীপ সিং গোপাল সিং চাওলার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। তার মাধ্যমেই সে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয় এবং দেশীয় চ্যানেলের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনও করেছে বলে জানান পুলিশ প্রধান।
ডিজি আরও জানান, “এই গুপ্তচর চক্রের সম্পূর্ণ পরিসর জানতে এবং অন্যান্য সংযোগ চিহ্নিত করতে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত তদন্ত জোরদার করা হয়েছে। সরকারি গোপনীয়তা আইনের অধীনে তারণতারনের সিটি থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।”
পাঞ্জাব পুলিশ দেশরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যে কোনও রকমের রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, অপারেশন সিন্ধুর অধীনে ৭ মে ভোররাতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) নয়টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এর মধ্যে ছিল জইশ-ই-মহম্মদের বাহাওয়ালপুর ঘাঁটি এবং লস্কর-ই-তৈবার মুরিদকেতে অবস্থিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এই পদক্ষেপটি ২২ এপ্রিল পহেলগামে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারানোর প্রেক্ষিতে নেওয়া হয়।
এর আগে মালেরকোটলা জেলায় এক নারীসহ ছয়জনকে পাকিস্তানের জন্য গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
2025-06-03

