বলিউড ও টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ অভিনেতা মুকুল দেব প্রয়াত

মুম্বই, ২৪ মে: প্রাক্তন মডেল এবং বলিউডের পরিচিত অভিনেতা মুকুল দেব শুক্রবার (২৩ মে) প্রয়াত হয়েছেন। বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। সংক্ষিপ্ত অসুস্থতার পর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।

মুকুল দেবের ভাই রাহুল দেব তাঁর পরিবারের একমাত্র জীবিত সদস্য। ‘সন অফ সরদার’, ‘যমলা পাগলা দিওয়ানা’ সহ একাধিক জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন মুকুল।

অভিনেতা বিন্দু দারা সিং বলেন, “মা-বাবার মৃত্যুর পর মুকুল একদম চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল। কারও সঙ্গে দেখা করত না বা বাইরে যেত না। শেষ ক’দিন ওর শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ ছিল। আমার সমবেদনা রইল রাহুল ও মুকুলকে ভালোবাসা যাঁরা করেছেন তাঁদের প্রতি। ও ছিল অসাধারণ একজন মানুষ। আমরা সবাই ওকে ভীষণ মিস করব।”

অভিনেত্রী এবং মুকুলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু দীপশিখা নাগপালও ইনস্টাগ্রামে তাঁদের একটি ছবি শেয়ার করে আবেগপ্রবণ পোস্ট করেছেন। তিনি বলেন, “মুকুল কখনও কারও সঙ্গে ওর শরীর খারাপের কথা বলত না। আমাদের বন্ধুদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে, যেখানে আমরা নিয়মিত কথা বলতাম। আজ সকালে খবরটা শুনেই ওকে ফোন করছিলাম, ভাবছিলাম হয়তো রিসিভ করবে।”

মুকুল দেব হিন্দি ও পাঞ্জাবি ছবির পাশাপাশি বাংলা, মালয়ালম, কন্নড় ও তেলুগু ছবিতেও কাজ করেছেন। টেলিভিশন ধারাবাহিক এবং মিউজিক অ্যালবামেও তিনি পরিচিত মুখ ছিলেন। ‘যমলা পাগলা দিওয়ানা’ ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য তাঁকে ৭ম অমরেশ পুরী পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়।

দিল্লিতে জন্মগ্রহণকারী মুকুল তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন ১৯৯৬ সালে দূরদর্শনের ধারাবাহিক ‘মুমকিন’ দিয়ে, যেখানে তিনি ‘বিজয় পাণ্ডে’র চরিত্রে অভিনয় করেন। এছাড়াও তিনি ‘এক সে বাড়কর এক’ নামক কৌতুকপূর্ণ বলিউড কাউন্টডাউন শো-তে অংশ নেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে রয়েছে ‘কিলা’ (১৯৯৮), ‘ওয়াজুদ’ (১৯৯৮), ‘কোहरাম’ (১৯৯৯) এবং ‘মুঝে মেরি বিবি সে বাঁচাও’ (২০০১)।

মুকুল দেবের অকালপ্রয়াণে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।