রাজ্যজুড়ে রেগা মজুরি ও রেশন দাবিতে কর্মসূচি, উচ্ছ্বসিত বিরোধী দলনেতা

আগরতলা, ২৫ এপ্রিল: রেগা ও টুয়েপ প্রকল্পে ২০০ দিনের কাজ এবং দৈনিক ৩৪০ টাকা মজুরি, অতিসত্বর বকেয়া মজুরি প্রদান ও রেশনিং ব্যবস্থার মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সুলভ মূল্যে নিয়মিত প্রদানের দাবিতে রাজ্যজুড়ে আজ সিপিআইএমের উদ্যোগে বিশাল মিছিল, গণঅবস্থান ও ডেপুটেশন প্রদান কর্মসূচি পালিত হয়।

এই কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের জন্য এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা ও সিপিআইএম পলিটব্যুরোর সদস্য জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি বলেন, “বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে রাজ্যবাসী যেভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে এসেছে, তাতে আমরা অভিভূত। এই আন্দোলন আমাদের দাবি আদায়ের পথে এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।”

সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, “দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন প্রকল্প চালু করলেও ত্রিপুরার জনগণ সেই সুবিধা পাচ্ছেন না। রাজ্যের শাসক দল সবসময় সাধারণ মানুষের আওয়াজ দমন করতে চায়। তাদের বদান্যতার কারণে বিভিন্ন পরিষেবায় ঘাটতি তৈরি হয়েছে।”

বিরোধী দলনেতা জানান, আজ সিপিআইএম-এর উত্তর ত্রিপুরা জেলা দপ্তর, ধর্মনগর মহকুমা দপ্তর এবং আগরতলার ডুকলি ব্লকে বিজেপি সমর্থকদের দ্বারা হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। তিনি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং বিধানসভার অধ্যক্ষের দায়িত্বের প্রশ্ন তোলেন।

তিনি বলেন, “শাসক দলের কিছু সদস্য ইচ্ছাকৃতভাবে সামাজিক মাধ্যমে উস্কানিমূলক প্রচার চালাচ্ছে। এর ফলে রাজ্যে যে কোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যেতে পারে।”

পেহেলগাওয়ে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই ঘটনা সরকারের ব্যর্থতা। এই মুহূর্তে কাদা ছোড়াছুড়ির সময় নয়। গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। বিশ্লেষণ করার সময় পরে পাওয়া যাবে, এখন প্রয়োজন ঐক্য ও প্রতিরোধ।”

সাংবাদিক সম্মেলনের শেষে তিনি পুনরায় জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “এই আন্দোলন শুধু রেগার মজুরি বা রেশনের দাবিতে সীমাবদ্ধ নয়, এটা সাধারণ মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। আমরা এই লড়াই চালিয়ে যাব।”