আগরতলা, ৩০ জানুয়ারি: ত্রিপুরার অর্থনীতি সুপরিচালিত এবং রাজ্যের আর্থিক অবস্থা সুদৃঢ়। কৃষিক্ষেত্রের উপর রাজ্যের নির্ভরতা ৩০-৩৫ শতাংশ যা জাতীয় গড়ের তুলনায় কম। আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি এমনটাই জানিয়েছেন ষোড়শ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. অরবিন্দ পানাগরিয়া।
প্রসঙ্গত, ষোড়শ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. অরবিন্দ পানাগরিয়ার নেতৃত্বে ১২ সদস্যদের এক প্রতিনিধিদল গতকাল আগরতলায় এসে পৌঁছেছেন। আজ সকালে প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ মানিক সাহা এবং ক্যাবিনেট মন্ত্রিদের উপস্থিতিতে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিনের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন অর্থকমিশনের সদস্য এ এন ঝা, এনি জর্জ মেথিউ, ড. মনোজ পান্ডা, সোম্যকান্তি ঘোষ, কমিশনের সচিব হৃত্বিক পান্ডে, যুগ্ম সচিব রাহুল জৈন, অধিকর্তা কে বালাজি, যুগ্ম অধিকর্তা কুমার বিবেক, উপঅধিকর্তা সন্দীপ কুমার, পিপিএস মীনা মহেন্দু এবং ক্যাশিয়ার রাজেশ কুমার শর্মা।
তারপর সাংবাদিক সম্মেলনে মিলিত হয়েছেন কমিশনের সদস্যরা। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের অর্থনৈতিক বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন চেয়ারম্যান ড. অরবিন্দ পানাগরিয়া
এদিন শ্রী পানাগড়িয়া বলেন, কমিশন প্রতি পাঁচ বছর অন্তর গঠন করা হয়। এতে একজন চেয়ারম্যান এবং চারজন সদস্য থাকেন। এছাড়াও কমিশনকে সহায়তা করার জন্য অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা থাকেন। মূলত, আগামী এই পাঁচ বছরে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে করের (রাজস্ব) কতটা বন্টন হবে এবং কেন্দ্র থেকে কী পরিমাণ অনুদান রাজ্যের জন্য বরাদ্দ হবে সেই সিদ্ধান্তই করা হয়ে থাকে। তাছাড়া, রাজ্যের উন্নয়নে বিশেষ কোনও অনুদান রাজ্যকে প্রদান করা হবে কি না তাও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। আজ মহাকরণে রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এবং অন্যান্য আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপর আলোকপাত করা হয়েছে।
এদিন তিনি বলেন, ত্রিপুরায় নগরন্নোয়ন দ্রুত হারে ঘটছে। ত্রিপুরার মাথাপিছু আয় জাতীয় গড়ের তুলনায় কম। তবুও, এটি দেশের অন্যান্য রাজ্যের সাথে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করছে। ষোড়শ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, ত্রিপুরা সরকার তার সুপারিশে কেন্দ্রের কাছ থেকে বর্তমান ৪১ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ কর স্টেট শেয়ার চেয়েছে।
শ্রী পানাগড়িয়া বলেম, ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্ব ভারতের সমস্যাগুলি নিয়ে তিনি সচেতন আছেন। এই অঞ্চলের সমস্যাগুলি প্রায় একই ধরনের। রাষ্ট্রপতির কাছে অর্থ কমিশনের সুপারিশ করার সময় এই বিষয়গুলি দেখা হবে। তাঁর কথায়, এখনও পর্যন্ত ত্রিপুরাকে নিয়ে ১৭টি রাজ্য সফর করেছে ষোড়শ অর্থ কমিশন। আগামীদিনে আরও এগারোটি রাজ্যে যাবেন তাঁরা। উত্তর পূর্ব ভারতে মিজোরাম এবং অরুনাচল প্রদেশ ছাড়া বাকি সব রাজ্যে সফর হয়ে গেছে। এদিন তিনি আরও বলেন, ত্রিপুরার অর্থনীতি সুপরিচালিত এবং রাজ্যের আর্থিক অবস্থা সুদৃঢ়। কৃষিক্ষেত্রের উপর রাজ্যের নির্ভরতা ৩০-৩৫ শতাংশ যা জাতীয় গড়ের তুলনায় কম।