আগরতলা, ১৯ নভেম্বর : জোরপূর্বক জোতের জমি দখল এবং ডিডাব্লিউএস কর্মী ও স্থানীয় শিক্ষকের কাছ থেকে চাঁদার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠলো নলছড় পুয়াংবাড়ী বরুয়া চৌমুহনি এলাকার রামকৃষ্ণ ক্লাবের কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার দুপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন পুয়াংবাড়ি বরুয়া চৌমুহনি এলাকার শিক্ষক সুরুজ কান্তি দাস, এবং ডিডাব্লিউএস জুনিয়ার ওভারশিয়ার রাকেশ দাস।
সংবাদে প্রকাশ, নলছড় বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পুয়াংবাড়ি বরুয়া চৌমুহনি এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক সুরুজ কান্তি দাসের স্থানীয় রামকৃষ্ণ ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় পৈত্রিক সম্পত্তি আঠারো কানি জায়গা রয়েছে। তিনি ওই এলাকার কিছু জমি রাকেশ দাস নামে ডিডাব্লিউএস-র এক কর্মীর কাছে বিক্রি করেন। সরকারি নিয়ম অনুসারে রাকেশ দাস যথারীতি বাড়ি তৈরি করার জন্য সেই মাটি কাটার কাজ শুরু করেন। এসব দেখে স্থানীয় রামকৃষ্ণ ক্লাবের কিছু সদস্যরা রাকেশ দাসের কাছে ১৫০০০০ টাকা দাবি করে।
এদিকে, রাকেশ দাস সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় ক্লাবের কিছু সদস্য দাবি করেন সুরুজ কান্তি দাস যে জায়গাটি বিক্রি করেছেন সেই জায়গা ক্লাবের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এছাড়াও সুরুজ কান্তি দাস এবং রাকেশ দাস কে এলাকার জমি মাফিয়া বলে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালিয়েছেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষক সুরুজ কান্তি দাসের ১৮ কানি জমির সমস্ত কাগজ পত্র থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় রামকৃষ্ণ ক্লাবের কতিপয় সদস্য চাঁদার নামে অর্থ হাতিতে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে অপদস্থ এবং বদনাম হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
সুরুজ কান্তি দাস ও রাকেশ দাসের বক্তব্য, এই অপপ্রচারের ফলে তাদের পরিবারের সম্মানহানি হচ্ছে। তাই ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তারা। রামকৃষ্ণ ক্লাবের ওই কতিপয় সদস্যরা শাসকদলের রামাবলী গায়ে দিয়ে একাধিক মানুষের কাছ থেকে নানাভাবে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ধান্দায় নেমেছেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান সুরুজ কান্তি দাস ও রাকেশ দাস।