BRAKING NEWS

‘থ্রেট কালচার‘ বনাম ‘টেরর কালচার’, প্রকাশ্য বিরোধ শুরু জুনিয়র ডাক্তারদের দুই গোষ্ঠীর

কলকাতা, ২৬ অক্টোবর (হি.স.): ‘থ্রেট কালচারের’ অভিযোগ এনেছিলেন আর জি করের জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো, দেবাশিস হালদাররা। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে ‘টেরর কালচার’ চালানোর বড় অভিযোগ আনলেন আর জি করের একাংশ জুনিয়র চিকিৎসক।

বিচার পেতে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের বিরুদ্ধে পাল্টা সংগঠন গড়লেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের বিরুদ্ধে আর জি করের জুনিয়র চিকিৎসক শ্রীশ চক্রবর্তীর দাবি, “আমরাই প্রথম নির্যাতিতা দিদির বিচার চেয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলাম। তবে আমরা বলেছিলাম, কর্মবিরতি মানব না। রোগী পরিষেবা অক্ষুন্ন রেখে আমরা আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। তখনই আমাদের বিরুদ্ধে ‘থ্রেট কালচারের’ অভিযোগ আনা হয়।”

শ্রীশের অভিযোগ, “জোর করে মিথ্যেকে সত্যি করা হল। চাপ দিয়ে নিজেদের মতো এনকোয়ারি কমিটি তৈরি করে আমাদের ৫৩ জনকে সাসপেন্ড করা হল। আমাদের ওপর দিয়ে কী গেছে বলে বোঝাতে পারব না। আমাদের কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল।”

বস্তুত, ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের আন্দোলনের জেরে সম্প্রতি আর জি করে বসেছিলেন তদন্ত কমিটি। তাঁরা ৫৩ জনকে সাসপেন্ড করে। শ্রীশ চক্রবর্তী, সৌরভ দাসরা তাঁদেরই অন্যতম। কলেজের সাসপেনশনের বিরুদ্ধে আদালতে যান তাঁরা। হাইকোর্টের তরফে ওই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়।

শ্রীশ বলেন, “তারপরও অনিকেত মাহাতোরা আমাদের কলেজে ঢুকতে বাধা দেয়। উল্টে  শ্রীশের কথায়, “অনিকেত মাহাতোরা তো আমাদের ওপর টেরর কালচার শুরু করেছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *