BRAKING NEWS

মৃত ছাত্রীর মুঠোফোন থেকে তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর নয়া তথ্যের হদিশ

নদিয়া, ১৮ অক্টোবর (হি.স.): কৃষ্ণনগরের মৃত ছাত্রীর মুঠোফোন থেকে তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর নয়া তথ্যের হদিশ মিলল। শুক্রবার পুলিশ সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে। 

সূত্রের খবর, মুঠোফোনে তার ফেসবুক পোস্ট ও হোয়াটসঅ্যাপের অডিওবার্তা খতিয়ে অনুমান করা হচ্ছে, সে গোপনে তার প্রেমিককে বিয়ে করেছিল। এক তরুণীকে কেন্দ্র করে যুগলের মধ্যে দানা বেঁধেছিল অশান্তি। ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের দিন নাকি দীর্ঘক্ষণ সেই বান্ধবীর সঙ্গেই ছিল ধৃত যুবক। প্রশ্ন উঠছে, তা নিয়ে অশান্তির জেরেই কী নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে?

চলতি বছরের ২৫ জুন ফেসবুকের রিলেশনশিপ স্টেটাস বদল করে মৃত নাবালিকা। লিখেছিল, ‘ম্যারেড উইথ…’। এখানেই শেষ নয়, নিজের ফোনে প্রেমিকার নম্বর সেভ করে ‘হাজব্যান্ড’ নামে। এতেই তদন্তকারীদের মনে হচ্ছে প্রেমিকের সঙ্গে গোপনে বিয়ে সেরেছিল নাবালিকা। 

তদন্তকারীদের অনুমান, ঘটনাচক্রে তাঁদের মাঝে চলে আসে তৃতীয় কেউ। তা নিয়ে শুরু হয় অশান্তি। এক পর্যায়ে তা বিরাট আকার নেয়। ঘটনার দিন অর্থাৎ ১৬ অক্টোবর দিনভর কৃষ্ণনগরের একাধিক জায়গায় একা ঘুরতে দেখা যায় নাবালিকাকে। রাত ন’টা নাগাদ কলেজ মাঠের আশেপাশের সিসিটিভিতে ধরা পড়ে সে। ওই এলাকাতেই ছিল ধৃত যুবকও। কিন্তু দিনভর এলাকায় ছিলেন না তিনি। এক বান্ধবীর সঙ্গে রানাঘাটে গিয়েছিলেন। অনুমান, সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই অশান্তি চরম আকার নেয়। 

কৃষ্ণনগর শহরে তরুণীর দগ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় বৃহস্পতিবারই স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট গঠন করেছে রাজ্য। নেতৃত্বে আছেন কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের এসপি অমরনাথ কে। ঘটনায় সিআইডি-র সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলেও এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার জানিয়েছেন। ওই দিন ঘটনাস্থলে (যেখানে দেহ উদ্ধার হয়) জেলা পুলিশ এবং সিআইডি-র কর্তাদের সঙ্গে নিয়ে যান তিনি।  

শুক্রবার এক তদন্তকারী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নাবালিকা যে রাতে মারা যায়, কোনও দোকান থেকে কেরোসিন কিনেছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খুনের আশঙ্কা এখন অনেকটাই ধূসর হয়ে এসেছে।  বিচ্ছেদের যন্ত্রণায় আত্মহত্যার তত্ত্ব নিয়েই এগোচ্ছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *