করিমগঞ্জ (অসম), ১৬ অক্টোবর (হি.স.) : করিমগঞ্জের লাতু এলাকায় লঙ্গাই নদী থেকে জনৈক যুবকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার হয়েছে। দুর্গাপূজা সম্পন্ন হতে না-হতেই গলা কাটা যুবকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে এলাকাজুড়ে।
করিমগঞ্জের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কর্তব্যরত ১৬ নম্বর বিএসএফ এবং লাতু পিআইসিপি পুলিশ দলের যৌথ অভিযানে আজ বুধবার বেলা একটা নাগাদ উদ্ধার করা হয়েছে করিমগঞ্জ জেলান্তর্গত আনিপুর এলাকার নালারপার গ্রামের জনৈক সুধাংশু নাথের বছর ২৮-এর ছেলে নবজ্যোতি নাথের মৃতদেহ। মৃতদেহে পরিহিত পোশাক থেকে নগদ ৩,৩১০ টাকা সহ একটি ওয়ালেট (মানিব্যাগ), আধার কার্ড, প্যান কার্ড এবং ভোটার কার্ড উদ্ধার হয়েছে। আধার ও প্যান কার্ড থেকে মৃতদেহটি সুধাংশু নাথের বলে শনাক্ত করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, বুধবার বেলা একটা নাগাদ হঠাৎ নদীর জলে একটি লাশ বাংলাদেশের দিকে ভেসে যাচ্ছে বলে চোখে পড়ে সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের। তা দেখে তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে স্পিড বোট নিয়ে অভিযানে নামে জওয়ানের দল। এর মধ্যে খবর পেয়ে দলবল নিয়ে উপস্থিত হন লাতু পিআইসিপি ইনচার্জ কনক মিশ্র। এর পর পুলিশ ও বিএসএফ যৌথভাবে নদী থেকে উদ্ধার করে যুবকের লাশ। তবে তার গলা এবং হাত কাটা অবস্থায় উদ্ধার হওয়ায় নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রথমে লাতু এলাকায় লঙ্গাই নদীতে অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে নদীতীরে মানুষের ভিড় জমে।। বিকালে করিমগঞ্জ সদর থানা থেকে পুলিশের দল ছুটে এসে পরিবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য করিমগঞ্জের সিভিল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়।
সদর থানার জনৈক আধিকারিক জানান, যেহেতু মৃত যুবকের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে, তাই তার পরিবারের কাছে খবর পাঠানো হবে। নিখোঁজ সংক্রান্ত কোনও ধরনের এজাহার স্থানীয় থানায় দায়ের করা রয়েছে কিনা না তারও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তবে গলা এবং হাত কাটা অবস্থায় লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ আধিকারিক বলেন, ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে, অথচ তার প্যান্টের পকেট থেকে টাকা ভরতি ওয়ালেট অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। তাই এই হত্যাকাণ্ডের মোটিভ কী হতে পারে, তা ভাবাচ্ছে তাঁদের। কী কারণে, কে, বা কারা খুন করেছে, তা এক রহস্য। খুন করে তথ্য লোপাটের জন্য মৃতদেহটি নদীতে ফেলে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা, ধারণা পুলিশ অফিসারের।