বোলপুর, ১৮ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : পুজোর মুখে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে শান্তিনিকেতনের প্রান্তিকে চলল বুলডোজার। সকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযানে নামল শ্রীনিকেতন-শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদ। চোখের জলে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ, সরকারি জায়গায় ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কার্যালয়, সেটা না ভেঙে ফুটপাত উচ্ছেদ করা হচ্ছে ৷ পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের সামনেই ক্ষোভ উগ্রে দেন ব্যবসায়ীরা৷
প্রসঙ্গত, ফুটপাত ও হকার উচ্ছেদ এখনই আর নয়, এমনই ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মত বোলপুর পৌরসভা উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করে দিয়েছে। কিন্তু, দেখা গেল এদিন শান্তিনিকেতনের প্রান্তিকে সকাল সকাল বুলডোজার নিয়ে হাজির শ্রীনিকেতন-শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদ। সামনেই পুজো, তার আগে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হল একের পর এক দোকান৷ পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে উচ্ছেদের নামে রীতিমতো সরকারি তাণ্ডব চলতে দেখা গেল৷ চোখে জলে ভাসালেন ফুটপাত ব্যবসায়ীরা৷ তাদের অভিযোগ, প্রান্তিকেই রয়েছে সরকারি জায়গায় বোলপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল-কংগ্রেস কার্যালয়। ফুটপাত উচ্ছেদ হলেও কেন দলীয় কার্যালয় ভাঙা পড়ছে না? এই নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের সামনে ক্ষোভ উগ্রে দেন ব্যবসায়ীরা৷ যা নিয়ে উত্তাল হয় পরিস্থিতি৷
উল্লেখ্য, কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক শহরে দেখা গিয়েছিল বুলডোজারের উচ্ছেদ অভিযান৷ যা নিয়ে বিরাট ক্ষোভও তৈরি হয়েছিল৷ প্রশ্ন উঠেছিল পুনর্বাসন না দিয়ে কেন উচ্ছেদ৷ ক্ষোভ প্রশমণ করতেই উচ্ছেদ অভিযানে রাশ টেনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, পুজোর মুখে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে ফের বুলডোজার চলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আর শ্রীনিকেতন-শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান খোদ রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ।
ব্যবসায়ীদের মধ্যে রেখা গোস্বামী বলেন, “আমরা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের বাড়ি ফুল মিষ্টি নিয়ে গেলাম। উনি বলেছিলেন প্ল্যাস্টিক, বাঁশ দিয়ে দোকান করতে৷ সেই মত করেছিলাম৷ পুজোর মুখে বুলডোজার নিয়ে এসে সব ভেঙে দিল৷ আমাদের কোন পুনর্বাসনও দেয়নি৷ আমরা যাব কোথায়? আমরা চাই আমাদের পুনর্বাসন দেওয়া হোক।”