আগরতলা টাউন হলে জেম এক্সিলেন্স সামিট ত্রিপুরা অনুষ্ঠিত

আগরতলা, ১৮ সেপ্টেম্বর : জেম এক্সিলেন্স সামিট ত্রিপুরা আজ আগরতলা টাউন হলে অনুষ্ঠিত হয়। সামিটের উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেম চালুর পরবর্তী সময়ে সরকারিভাবে বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয়ে কি কি সুবিধা হচ্ছে তা নিয়ে তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, জেম পোর্টাল চালু হওয়ায় সরকারি সামগ্রী ক্রয় ও বিক্রয়ে স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও পারদর্শিতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত জেম পোর্টালে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ৬৭৯ কোটি টাকার সামগ্রী ক্রয় করেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই অর্থের পরিমাণ হল প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা। জেম পোর্টালে রাজ্যের ৯০৪টি এমএসই (মাইক্রো এন্ড স্মল এন্টারপ্রাইজ) নথিভুক্ত রয়েছে। তাছাড়া ৮০৪টি ক্রেতা এবং ১৮,০১৭টি বিক্রেতা জেম পোর্টালে নথিভুক্ত রয়েছেন। তারমধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪, ১৫৫টি বিক্রেতা তাদের নাম এই পোর্টালে নথিভুক্ত করেছেন।

সামিটে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অর্থ দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব আকিঞ্চন সরকার বলেন, কেন্দ্র সরকার ৯ আগস্ট, ২০১৬ প্রথম জেম পোর্টাল চালু করে। অনুষ্ঠানে ক্রেতা বিভাগে (বায়ার) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, বিদ্যালয় শিক্ষা, রাজস্ব, আরক্ষা, অগ্নি নির্বাপক দপ্তরকে জেম থেকে সামগ্রী ক্রয়ের আর্থিক মূল্যের ভিত্তিতে যথাক্রমে ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম হিসাবে সংবর্ধিত করা হয়। তাছাড়া স্পেশাল ক্যাটাগরিতে যথাক্রমে নগর উন্নয়ন, গ্রামোন্নয়ন এবং অর্থ দপ্তরকেও সংবর্ধিত করা হয়।

সামিটে আলোচনায় স্টেট জেম এর অধিকর্তা অমরদ্বীপ গুপ্তা বলেন, গত অর্থবছরে সারা দেশে সরকারি দপ্তরগুলোতে জেমের মাধ্যমে ৪ লক্ষ কোটি টাকার সামগ্রী ক্রয় করা হয়েছে। ত্রিপুরা জেমের মাধ্যমে সরকারি সামগ্রী ক্রয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আসামের পরই অবস্থান করছে। ইতিমধ্যেই জেলা পর্যায়েও এই ধরণের সামিটের আয়োজন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। সামিটের দ্বিতীয় পর্যায়ে জেম পোর্টাল সম্পর্কিত টেকনিক্যাল বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। সামিটে বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ উপস্থিতছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *