কলকাতা, ১৬ সেপ্টেম্বর (হি.স.): “অভিজিৎ আমরা অনেকদিন একসঙ্গে কাজ করেছি…তুই আমার অ্যাডিশনাল ও সি ছিলিস…আমি জানি তুই কোনো অপরাধ করিস নি….আমরা সবাই তোর আর তোর পরিবারের পাশে আছি…এর শেষ দেখে ছাড়বো।”
এই ভাষাতেই টালা থানার ধৃত ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের প্রতি সামাজিক মাধ্যমে পূর্ণ সমর্থন জানালেন কলকাতা পুলিশের ইন্সপেক্টর মর্যাদার আর এক অফিসার বিশ্বক মুখার্জি। বিশাল লেখার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন রাগ, ক্ষোভ, অভিমান। ফেসবুকে তাঁর এবং স্ত্রী সুমনা— দুজনেরই কালো গোল ডিপি।
কেবল বিশ্বকবাবু নন, ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন পুলিশকর্মীদের একটা বড় অংশ। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করছেন তাঁদের অভিব্যক্তি।বিশ্বকবাবুর পোস্টে সোমবার বেলা সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত মন্তব্য করেছেন ১৪৫ জন। অধিকাংশই পুলিশকর্মী। তাঁদের সুরে সহমত।
বিশ্বকবাবু লিখেছেন, “আমার মনে হয় এই সাব-ইন্সপেক্টর এর চাকরি পৃথিবীর সরকারি চাকরির মধ্যে সব থেকে stressful আর থানার ওসি হলো ঢাল নেই তরোয়াল নেই নিধিরাম সর্দার। কাউকে যদি জর্জ টেলিগ্রাফের টিম দিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে পাঁচ গোল দিতে বলা হয় তাহলে হয়তো সবাই হাসবে কিন্তু থানার ওসিকে সেটাই করতে বলা হয়। আর না পারলেই বলা হয় ও tactful নয়।
বেশিরভাগ তদন্তই করে থানার সাব-ইন্সপেক্টর! তার অথচ তাকে কি দেওয়া হয় কেউ সেই খবরটা রাখেনা। আজ চারিদিকে সবাই অনেক কিছু চাইছে তাই মনে হল সাব ইন্সপেক্টর এর জন্য একটু যদি বলা যেত তাহলে বিষয়টা অনেকটাই পরিষ্কার হত। থানায় দু ধরনের সাব-ইন্সপেক্টর কর্মরত। এক যারা গ্রাজুয়েশনের পর পরীক্ষা দিয়ে এক বছরের ট্রেনিং করে সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে চাকরিতে বহাল হয়। আর দ্বিতীয় যারা ন্যূনতম ক্লাস এইট অথবা মাধ্যমিক পাশ করার পর কনস্টেবলের চাকরিতে বহাল হয় ও ক্রমাগত প্রোমোশন পেয়ে দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর পর সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে কাজ করতে শুরু করে। আর তারা যা তদন্ত করে তার ওপর দাঁড়িয়ে লড়াই করে Advocate General আর Solicitor General রা….
বেচারা ওসি….গাদা বন্দুক নিয়ে কামানের সঙ্গে লড়াই করে শুধু মাত্র চাকরি বাঁচানোর দায়ে…”।
প্রতিক্রিয়ায় অরিত্র মুখার্জি লিখেছেন, “পুলিশ পরিবার এর মনে হয় সবাই কাল রাতে ঘুমাতে পারেনি,, কি হচ্ছে স্যার জানিনা..সঠিক ন্যায় বিচারের অপেক্ষায় আছি স্যর….”। দেবদ্যুতি দাস লিখেছেন, “আজ ১৫ বছর চাকরি করে একটা জিনিস খুব ভালো করে বুঝেছি যে পুলিশ হোলো এক কথায় হয় কাজী নয় পাজি। মানে ওই কথায় বলে না, “কাজের বেলায় কাজী, কাজ ফুরোলেই পাজি।”
| ReplyForwardAdd reaction |

