BRAKING NEWS

প্রত্যেক রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে স্কুলে শিশুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে “স্কুল সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত নির্দেশিকা” বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ শিক্ষা মন্ত্রকের

 

নয়াদিল্লি, ২৩ আগস্ট : ভারত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রক স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানগুলিতে শিশুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দিতে গভীরভাবে দায়বদ্ধ। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা ২০১৭ সালের দুটি রিট পিটিশন (ফৌজদারী) নং ১৩৬ / ২০১৭ এবং  রিট পিটিশন (দেওয়ানী) নং ৮৭৪/২০১৭ মামলায়  শীর্ষ আদালতের আদেশ অনুসারে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার স্বার্থে শিক্ষা মন্ত্রকের শিক্ষা ও সাক্ষরতা দপ্তর শিশুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রণয়ন করেছে। এই নির্দেশিকা পকসো আইনের  সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই নির্দেশিকাগুলিতে সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং বেসরকারী স্কুলে পাঠরত শিশুদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে স্কুল ব্যবস্থাপনা-পদ্ধতি ও জবাবদিহি ব্যবস্থা নির্ধারণের বিধান দেওয়া হয়। নির্দেশিকাগুলি প্রতিরোধমূলক শিক্ষা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহিতা, রিপোর্টিং পদ্ধতি, সংশ্লিষ্ট আইনী বিধান, সহায়তা এবং পরামর্শ এবং নিরাপদ পরিবেশের ব্যবস্থা নিয়ে বিধান দিয়েছে। এই নির্দেশিকাগুলি ইতিবাচক শিক্ষা ও সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই নির্দেশিকাগুলি ২০২১ সালের ১ অক্টোবর সমস্ত রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল / স্বশাসিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকে পাঠানো হয়েছিল। নির্দেশিকাগুলি স্কুলে শিশুদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরামর্শ দিয়েছে। স্কুলে শিশুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কারা জবাবদিহি করবেন তাও স্পষ্টভাবে এতে বলা হয়েছে। রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে জানানো হয়েছিল যে তারা এই নির্দেশিকাগুলিতে সংযোজন/পরিবর্তন করতে পারবে। প্রয়োজনে  রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা অনুসারে সংযুক্ত করতে পারবে  এবং এ সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি দিতে পারে। এই নির্দেশিকাগুলি শিক্ষা মন্ত্রকের শিক্ষা ও সাক্ষরতা দপ্তর (DoSEL)-এর ওয়েবসাইটে- https://dsel.education.gov.in/sites/default/files/2021-10/guidelines_sss.pdf-এ আপলোড করা হয়েছে৷

এই নির্দেশিকাগুলির উদ্দেশ্য হল: শিশুদের সামগ্রিক বিকাশের জন্য বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এক নিরাপদ এবং সুরক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ছাত্র এবং অভিভাবক সহ সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে  বোঝাপড়া তৈরি করা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা এবং সুরক্ষার বিভিন্ন দিক যেমন শারীরিক, সামাজিক-মানসিক, জ্ঞান সম্পর্কিত এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য নির্দিষ্ট বিষয়ে ইতিমধ্যে উপলব্ধ আইন, নীতি, পদ্ধতি এবং নির্দেশিকা সম্পর্কে সচেতন করা। নির্দেশিকাগুলি বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলিকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রশাসন,  স্কুল পরিচালক, সরকার অধিগৃহীত / বেসরকারি স্কুলের অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকদের উপর  স্কুলে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখার জন্য কারা জবাবদিহি করবেন তা ঠিক করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে (যার মধ্যে শিশুদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া-আসা, স্কুলে যাওয়া বা তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়া ইত্যাদি বিষয় রয়েছে)। এই নির্দেশিকার মূল উদ্দেশ্য হল স্কুলে শিশুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি বা ব্যবস্থাপনার পক্ষ থেকে কোনো রকম অবহেলা দেখানোর ঘটনা হলে যেন কোনোরকম আপস না করা হয় অর্থাৎ’জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *