আগরতলা, ১১ জুলাই : পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই মনোনয়ন পত্র জমা দিতে নেমে পড়েছে বামফ্রন্ট। আজ মিছিল করে পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বামেরা। এ-উপলক্ষ্যে আয়োজিত পথ সভায় সিপিএম রাজ্য সম্পাদক তথা বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরীর কটাক্ষ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দল বিজেপি ৯৬ শতাংশের অধিক আসন বলপূর্বক দখল করেছে। এই নির্বাচনে তার যোগ্য জবাব দিতে হবে।
এদিন বামফ্রন্টের আহবায়ক নারায়ণ কর বলেন, আজ থেকে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা নেওয়া শুরু হয়েছে। এই নির্বাচন সারা দেশ বিশেষ করে গ্রামীণ মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সদ্য লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরাট ধাক্কা খেয়েছে। গ্রামীণ ভারতে ১৫৯টি লোকসভা আসনে বিজেপি জোট পরাজিত হয়েছে। রাজ্যে গ্রামীণ মানুষের উন্নয়নে বিজেপিকে পরাস্ত করতে হবে।
তাঁর দাবি, সারা রাজ্যে শুধু লুঠ চলছে। শাসক দল বিজেপির সমর্থিত একটি গোষ্ঠী মানুষের উন্নয়নের কোটি কোটি টাকা লুটে খাচ্ছে। তাই, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই লুঠেরা বাহিনীকে হারান, তিনি রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে আবেদন রাখেন। তাঁর সাফ কথা, বামফ্রন্ট ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের জন্য তৈরি হয়েছি। ফলে, বিজেপিকে কোন ব্যক্তি হারাতে চাইলে তাঁকেও সমর্থনে আমরা প্রস্তুত।
এদিন সিপিএম নেতা পবিত্র কর বলেন, আজ ৩৫টি আসনে বামফ্রন্ট সমর্থিত প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেবেন। পর্যায়ক্রমে সমস্ত আসনেই মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য বামফ্রন্ট প্রস্তুতি নিয়েছে। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যে অবাধ ভোটের পরিবেশ নেই। ব্লক অফিসে সর্বদলীয় বৈঠকে বিরোধীদের বলপূর্বক বের করে দিয়ে শাসক দল তার প্রমাণ রেখেছে। ফলে, ভোট হলে বামেদের জয় হবেই।
আজ পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার আগে পথসভায় সিপিএম রাজ্য সম্পাদক তথা বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী কটাক্ষ করে বলেন, অনেক তালবাহানার পর নানা ফন্দি ফিকির শেষে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঘোষণা হয়েছে। আজ রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তিনি উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, রাজ্যে ২০১৮ সালে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি এবং নানা প্রলোভন দেখিয়ে ক্ষমতা দখলের পর থেকে গণতান্ত্রিক পরিবেশ উধাও হয়ে গেছে। ৮০ শতাংশ মানুষ গ্রামে বসবাস করেন। অর্থনীতি গ্রামের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। রাজ্যের আর্থিক বিকাশে গ্রামের অংশীদারিত্ব অত্যন্ত জরুরী। অথচ, ২০১৯ সালে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৯৬ শতাংশের অধিক আসন বলপূর্বক দখল করেছে বিজেপি। সেখানে উন্নয়নের বদলে শুধু লুঠ চলছে।