আগরতলা, ১ জুন: মাধ্যমিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বিদ্যাজ্যোতি স্কুলের এক ছাত্র। তার মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েন আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু- বান্ধব ও পাড়া প্রতিবেশি।
জানা গিয়েছে, চড়িলাম বিদ্যাজ্যোতি স্কুলের ছাত্র অমিত রায় ওরফে সাগর এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল। তার বাড়ি চড়িলাম কালীটিলা এলাকায়। সে মা-বাবার একমাত্র সন্তান। কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েছিল সে। তারজন্য স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা সাগরকে বিভিন্নভাবে বকাবকি করেছিলেন বলে অভিযোগ। তারপর তাঁর বাবাও বাড়িতে অনেক বকাবকি করেছিলেন। সেই অভিমানে গত সোমবার ঘাস মারার ঔষধ খেয়ে ফেলেছিল সে। তারপর পরিবারের লোকেরা ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে তাকে প্রথমে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে জিবি হাসপাতালে স্হানান্তর করেন। দীর্ঘ পাঁচ লড়াই করে গতকাল মধ্যরাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ছাত্র অমিত রায়। শনিবার দুপুরে অমিত রায়ের মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে আসতে কান্নায় ভেঙে পড়েন আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব পাড়া প্রতিবাশী।
এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, ছাত্র মাধ্যমিক পরীক্ষায় এক নম্বর কম পাওয়ার ফলে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা এবং বাড়ির অভিভাবকরা তাকে বিভিন্নভাবে বকাবকি করেন।

