নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ২৭ জুলাই ৷৷ ত্রিপুরা রাজ্যে জোড় বিজোড় নম্বর চালু করছে রাজ্য সরকার৷ জ্বালানী তেল সংগ্রহের ক্ষেত্রে এ নিয়ম চালু হতে যাচ্ছে৷ জ্বালানী সংকটের সমাধানে নিয়মনীতি যতই সরকার করুকনা কেন বিশ্রামগঞ্জ বাজারে দিন দুপুরে চলছে কালোবাজারীর রমরমা ব্যবসা৷ মাত্র তিল হোঁড়া দুরুত্ব ডি এম অফিস থেকে৷ কেন এব্যাপারে কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেন না এ নিয়ে যান চালকদের মধ্যে হঁইচই শোনাযাচ্ছে৷ বিশ্রামগঞ্জর বিওসিতে জ্বালানী তেল না পাওয়া গেলেও বিশ্রামগঞ্জর মধ্যবাজারে একটি দোকানে বিওসির ন্যায় জ্বালানী আমদানী রপ্তাত্বনী হতে দেখা যাচ্ছে৷ উদয়পুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে একটি খালি বিশ লিটার ড্রাম বেরকরে দোকানে নিয়ে গেলে পুনরায় ড্রামভর্ত্তী জ্বালানী তেল নিয়ে গাড়ির পেছনের বিওসিতে রাখতে দেখা যায়৷ এখানে নাকি বিওসির ন্যায্য দামের চেয়ে মাত্র লিটার প্রতি ১০-২০ টাকা বেশি দিলেই জ্বালানী জেল পাওয়া যায়৷ ঐ ব্যবসায়ী নাকি বিশ্রামগঞ্জ পুলিশ বড়বাবুদের টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছেন এই অভিযোগ উঠছে যানচালকদের মধ্যে৷ প্রশাসন জোড় বিজোড় নাম্বারের কথা ভাবছে আর অন্যদিকে বিওসির মালিকরা খোলা বাজারে গ্রাহকদের ন্যায্য দামের চেয়ে লিটার প্রতি একদু টাকা লাভে জ্বালানী বিক্রি করে দিচ্ছে৷ অন্যদিকে বিভিন্ন রকম ছোটবড় যানবাহন নিয়ে বিওসির সামনে দীর্ঘ লাইন ধরে মাত্র ১০০ থেকে ২০০ টাকায় জ্বালানী তেলের জন্য উপরে পড়া ভীড় দাঁড়িয়ে তেল সংগ্রহ করছে চালকরা৷ জাতীয় সড়কের বেহাল দশায় কারনে রাজ্যে পেট্রোল ও ডিজেলের সংকট মারাত্মক আকার ধারন করেছে, ঠিক ততটাই সংকট হচ্চে অসাধু ব্যবসায়ী ও বিওসির মালিকদের কারনে৷ জাতীয় সড়কের সংকট দূর করার জন্য সরকার যেমন নানা কৌশল অবলম্বন করছেন, ঠিক তেমনিই ভাবেই কালোবাজারী দৌরাত্ম্য মোচনের জন্যও সরকারের ততটাই নজর দেওয়া প্রয়োজন৷ সরকারের এই উদাসীনতাকে কাজে লাগিয়ে একাংশের মজুতদাতারা বিভিন্ন নিত্য পন্য সামগ্রীর কৃত্রিম তৈরি করে চলছে৷ এই বিষয়ে সরকার ও প্রশাসনের তরফে তেমন কোন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে না৷ রাজ্যসরকার কালোবাজারী রোধে রেশনিং ব্যবস্থা, জোড়-বিজোড় নম্বর চালু করা যত নিয়মনীতি করুকনা কেন বড় বড় নেতা আমলাদের কারনেও বন্ধ করতে পারছে না তা বলায় অপেক্ষা রাখে না৷ গ্রাহকদের জ্বালানী না মিললেও মজুতদাতারা রাতের অন্ধকারে জ্বালানী সরবরাহ করে বিওসি থেকে যানচালকরা অভিযোগ করেন৷ এই কালোবাজারী মোকাবেলায় প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে৷