লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা; ১৯ এপ্রিল থেকে হবে ৭ দফায়, ফল ঘোষণা ৪ জুন

নয়াদিল্লি, ১৬ মার্চ (হি.স.) : সাত দফায় হবে লোকসভা ভোট, দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন, ভোট শুরু হবে ১৯ এপ্রিল, গণনা ৪ জুন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানান, লোকসভা নির্বাচন সাত দফায় হবে। ১৯ এপ্রিল ভোট শুরু হবে। ৪ জুন গণনা হবে। রাজীব জানালেন, বিহার, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, কর্নাটক, তামিলনাড়ুতে উপনির্বাচন হবে। লোকসভার সঙ্গেই সেই উপনির্বাচন হবে। সিকিম, ওডিশা, অরুণাচল প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ— চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে লোকসভার সঙ্গে। অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওডিশায় ১৩ মে ভোট হবে, অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিমে ১৯ এপ্রিল, ফল ঘোষণা হবে ৪ জুন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব বলেছেন, “প্রথম দফায় ২১ রাজ্যে ভোট হবে। দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ২৬ এপ্রিল। তৃতীয় দফার ভোট হবে ৭ মে। চতুর্থ দফার ভোট হবে ১৩ মে। পঞ্চম দফার ভোট হবে ২০ মে। ষষ্ঠ দফার ভোট হবে ২৫ মে। সপ্তম দফার ভোট হবে ১ জুন। ৪ জুন ভোটগণনা।”

শনিবার লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এদিন বিকেল তিনটে নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করে লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। সাংবাদিক বৈঠকে রাজীব কুমারের ডান দিকে বসেন জ্ঞানেশ কুমার। বাঁ দিকে সুখবীর সিংহ সান্ধু। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেছেন, “আমরা দেশকে সত্যিকারের উৎসবমুখর, গণতান্ত্রিক পরিবেশ দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। ১৭-তম লোকসভার মেয়াদ এ বছরের ১৬ জুন শেষ হওয়ার কথা। অন্ধ্রপ্রদেশ, ওডিশা, অরুণাচল প্রদেশ এবং সিকিম বিধানসভার মেয়াদও ২০২৪ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা। জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন হওয়ার কথা। ” মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, “মোট ভোটারের সংখ্যা ৯৭ (৯৬.৮ কোটি ভোটার) কোটি, ১০.৫ লক্ষ ভোটকেন্দ্র, ১.৫ কোটি ভোটগ্রহণ আধিকারিক এবং নিরাপত্তা কর্মী, ৫৫ লক্ষ ইভিএম এবং ৪ লক্ষ যানবাহন রয়েছে।” মুখ্য নির্বাচন কমিশনার আরও বলেছেন, “১২টি রাজ্যে পুরুষ ভোটারের তুলনায় মহিলা ভোটারের অনুপাত বেশি।”

নির্বাচনে হিংসা কমেছে বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। তিনি বলেন, “গত এক বছরের মধ্যে ১১টা নির্বাচন হয়েছে। সে ভাবে কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। যেখানে হতো হিংসার ঘটনা, সেখানেও কমেছে। ভুয়ো খবর নিয়েও আমরা পদক্ষেপ করেছি।’’ রাজীব বলেন, ‘‘সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে বেশ কিছু বাধা পেরোতে হবে কমিশনকে। তার জন্য অনেক কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে, যাঁরা ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবেন। হিংসা বা রক্তক্ষয় হতে দেওয়া যাবে না।’’ তিনি জানান, কারও কোনও অভিযোগ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে জানানো যাবে কমিশনকে। সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করবে কমিশন। জেলাশাসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কোনও রকম চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ভোটের দায়িত্বে রাখা যাবে না। সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের হিংসার বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *