রাজনৈতিক নীতি চূড়ান্ত করতে তৎপর প্রদেশ কংগ্রেস

PCCনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ জুলাই৷৷ আগামীদিনের রাজ্যে দলের রাজনৈতিক নীতি কী হবে তা চূড়ান্ত করতে চলেছে কংগ্রেস৷ ৩ আগষ্ট জনসমাবেশে ঘোষণা করা হবে সেই নীতি৷ তাতে থাকবে উপজাতিদের নিয়ে দলীয় নীতি৷ শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা৷ একই সাথে কংগ্রেস ত্যাগী বিধায়কদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দল এখন রাহু মুক্ত হয়েছে৷ নতুনদের নিয়ে আগামীদিনে এগিয়ে যাবে কংগ্রেস৷ এই প্রত্যয়কে সামনে রেখে ৩ আগষ্টের জনসমাবেশ থেকে ভবিষ্যৎ কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে বলে পিসিসি সভাপতি জানিয়েছেন৷
এদিন, তিনি বলেন, যারা কংগ্রেস ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিচ্ছেন তাদের আদর্শচ্যুতি ঘটেছে৷ মূলত, সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দেওয়া ভৃগুরাম রিয়াং এবং বিমল চাকমাকেই পিসিসি সভাপতি কটাক্ষ করেছেন৷ স্পষ্টভাবে বলেন, তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল৷ আর এই পরিত্যাক্তরাই এখন অন্য রাজনৈতিক শিবিরে যোগ দিচ্ছেন৷ পিসিসি সভাপতি দাবি করে বলেন, কোন রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারবে না৷ বামেদের সাথে এ রাজ্যে কোনভাবেই জোট হবে না৷ দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং সহ সভাপতি রাহুল গান্ধীর সাথে এবিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে৷ হাইকমান্ড জোটের প্রসঙ্গটি রাজ্যের হাতে তুলে দিয়েছে৷ রাজ্যস্তরে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি স্থির করবে জোটের বিষয়টি৷
এদিন তিনি আরো জানিয়েছেন, আগামী ৩ আগস্ট রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক সিপি যোশী আসবেন৷ সেদিন জনসমাবেশে অংশ নেবেন৷ মূলত, চিটফান্ড ইস্যুতেই ঐদিন র্যালি এবং জনসমাবেশ সংগঠিত করা হবে৷ এরই পাশাপাশি দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি এবং কর্মচারী বঞ্চনা নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সোচ্চার হবে৷ ৩ আগস্ট র্যালি শেষে চিটফান্ড ইস্যুতে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসকের কাছে প্রদেশ কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি তুলে দেবেন বলে পিসিসি সভাপতি জানিয়েছেন৷