নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ জুলাই৷৷ পৃথক রাজ্যের দাবি মেনে নেওয়া হবে না সে কারণে নেডা’র বৈঠক এড়াল আইপিএফটি৷ বিজেপির উদ্যোগে নেডা’র বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয় ছিল উত্তরপূর্বাঞ্চলে উপজাতি সম্প্রদায়ের কল্যাণে ১১তম এবং ১২তম তপশিল কার্যকর করা৷ বিশেষ করে বিজেপি প্রদেশ সভাপতি রাজ্যের উপজাতি অংশের উন্নয়নে পৃথক রাজ্যের পথে না হেঁটে বরং তাদের কিভাবে বিভিন্ন দিক দিয়ে স্বচ্ছল করা যায় সে বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন৷ ফলে, পৃথক রাজ্যের দাবিতে যারা অনঢ় সেই আইপিএফটি এই বৈঠক এড়ানোর পথেই হেঁটেছে৷ ইতিমধ্যেই আইপিএফটি অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল নেডা’র বৈঠকে গিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবি পক্ষে কোন আওয়াজ উঠবে না৷ সেই অর্থে বিজেপির সাথে সমঝোতায় যাওয়ার আর কোন পথ খোলা রাখতে চাইছে না আইপিএফটি৷
বুধবার গুয়াহাটিতে নেডা’র (নর্থ ইস্ট ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স) একদিনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ ঐ বৈঠকে ডোনার মন্ত্রী ডা জিতেন্দ্র সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতি মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু এবং রেল প্রতিমন্ত্রী রাজেন গোহেন উপস্থিত ছিলেন৷ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দশটি আঞ্চলিক দলের নেতৃবৃন্দ, নাগাল্যান্ড, সিকিম, আসাম এবং অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরা৷ এছাড়াও ছিলেন বিজেপি সাধারণ সম্পাদক রামমাধব এবং রামলালজি এবং পূর্বোত্তরে বিজেপির ১২ জন সাংসদ সহ বিজেপি প্রদেশ সভাপতি বিপ্লবকুমার দেব ও রাজ্য প্রভারী সুনীল দেওধর৷
এই বৈঠক থেকে অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, পৃথক রাজ্যের দাবি না ছাড়লে আইপিএফটির সাথে বিজেপির সমঝোতা সম্ভব নয়৷ বিজেপি প্রদেশ সভাপতি স্পষ্ট বলেন, আইপিএফটির সাথে সমঝোতার প্রশ্ণে এখনো কোন আলোচনার সময় আসেনি৷ তবে, পৃথক রাজ্যের দাবিতে আইপিএফটি অনঢ় থাকলে তাদের সাথে সমঝোতার পথে হাঁটা অনেকটাই মুশকিল৷ এদিনের বৈঠকে নেডা কনভেনার হেমন্তবিশ্ব শর্মাকে সংবিধানের ১১তম এবং ১২তম তপশিল কার্যকরের জন্য লিখিত প্রস্তাব দিয়েছেন বিজেপি প্রদেশ সভাপতি৷
সূত্র অনুসারে জানা গেছে, চলতি মাসেই গুয়াহাটিতে নেডা’র নতুন সচিবালয়ের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে৷ এদিনের বৈঠকে এবিষয়েও আলোচনা হয়েছে৷ পাশাপাশি পূর্বোত্তরে রাজ্যগুলিতে উপজাতিরা কি কি ভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিতে নেডা’র কনভেনার হেমন্তবিশ্ব শর্মাকে এদিনের বৈঠক থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ সম্ভবত মণিপুর এবং মিজোরাম দিয়ে চলতি মাসেই তিনি সফর শুরু করবেন৷
এছাড়া এদিনের বৈঠকে মোদি সরকারের পূর্বোত্তরের জন্য যে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে সে বিষয়েও চর্চা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিরা৷