BRAKING NEWS

অজানা কারণে পাচারবাণিজ্যে রাশ টানতে ব্যর্থ পানিসাগর থানা, থানার নাকের ডগায় চলছে অবাধে পাচার বাণিজ্য

পানিসাগর, ৬ ফেব্রুয়ারি: জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে পানিসাগর থানার পুলিশ বেআইনি কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তাতে স্থানীয় জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। পানিসাগর থানা বর্তমানে দুর্নীতির আতরঘরে পরিণত হয়েছে। পানিসাগর থানার তোল্লাবাজি আর জুলুমের শিকার হয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে  রাজ্যের লরি চালকগণ। 

উত্তর জেলা পুলিশ আধিকারিক জেলার সবগুলি থানাকে সঠিকভাবে তাদের কর্তব্য পালনের জন্য প্রতিনিয়ত উপদেশ দিয়ে আসলেও পানিসাগর থানার বড়বাবু সহ উনার অন্যান্য পুলিশরাও সেই উপদেশগুলোর বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে মর্জি মাফিক লুট বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।নেশা পাচারকারী গাড়িকে ছাড় দিয়ে সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করছে পানিসাগর থানা। 

পানিসাগর থানার থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে কৃষি অফিসের সামনে অস্থায়ী ছাউনি বসিয়ে বিকল্প থানা তৈরি করে লুট বাণিজ্য চালিয়ে যেতে পাকাপোক্ত পরিকল্পনা তৈরি করেছে পানিসাগর থানার পুলিশ। সাবরুম থেকে চোরাই বাড়ি পর্যন্ত যত থানা গুলি রয়েছে তার মধ্যে পানিসাগর থানাও একটি।

 সেই থানার সামনে দিয়ে কফ সিরাপ থেকে শুরু করে হেরোইন, গাজা পাচার হলেও একটি পাচার কাজে ব্যবহৃত গাড়ি ও আটক করতে ব্যর্থ পানিসাগর পুলিশ। একটাই কারণ দুর্নীতির মরীচিকায় আবদ্ধ হয়ে রয়েছে পানিসাগর পুলিশ কর্মীরা থাকবে না কেনই বা থানার মালিক ওসি যদি তাদের প্রশ্রয় দিয়ে যায় নোট বাণিজ্য সহায়তা করে যায় তাহলে অন্যরাই  কি দোষ করল। 

উত্তর জেলা পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী নেশার বিরুদ্ধে ক্রমাগত অভিযান চালিয়ে গেলেও ন্যূনতম সাফল্য আনতে পারেনি পানিসাগর থানা। বিভিন্ন মহলের অভিযোগ পানিসাগর থানায় এখন চলছে শুধু টাকার খেলা, গরু পাচার, গাজা পাচার সব গাড়িগুলি   মোটা অংকের বিনিময় পার হয়ে যায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর প্রফেসর মানিক সাহা নেশা বিরোধী অভিযানে সকলকে মাঠে নেমে কাজ করার উপদেশ দিলেও পানিসাগর থানা বাবুরা এই উপদেশ কে ভূলুণ্ঠিত করে উপরি কামাই এর জন্য অবৈধ গাড়ি গুলিকে টাকার বিনিময়ে বহি রাজ্যে পাঠানোর জন্য তৎপর হয়ে ওঠে।

 বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় সব থানা পেরিয়ে আসলো কিছু গাড়ি আছে চুড়াইবাড়ি থানাতে আটক হয় আবার কিছু গাড়ি আসাম সীমান্তে বাজারীছড়া থানাতে আটক হয়। তাহলে কিভাবে নেশা মুক্তি ত্রিপুরা কিভাবেই বা নেশার  করাল গ্রাস থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে নেশা কারবারিদের গারদে উঠাবে পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরে পানিসাগর থানার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ থাকলেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ মানুষ লক্ষ্য করেনি। তাই এবার স্থানীয় জনগণের দাবি এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করুক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *