ধানের বস্তার আড়ালে কোটি টাকার সামগ্রী-সহ হাতেনাতে গ্রেফতার যুবক

পূর্ব বর্ধমান, ১৯ জানুয়ারি (হি.স.) : ধানের বস্তার আড়ালে লুকিয়ে লরিতে নিয়ে আসা হয়েছিল ঝাড়খণ্ড থেকে। এরপর চালের বস্তার আড়ালে লুকিয়ে অন্য একটি লরিতে চাপিয়ে সেগুলি বাংলাদেশ পাচারের পরিকল্পনা ছিল। প্রায় কোটি টাকার মূল্যের নিষিদ্ধ ফেনসিডিল পাচারের আগেই হাতেনাতে ধরে ফেলল পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে ভাতারের ছয় মাইল এলাকা থেকে ভাতার থানার পুলিশ প্রচুর পরিমাণে ফেনসিডিল সিরাপ আটক করেছে। দুটি লরি এবং একটি চার চাকা গাড়িও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে এক যুবককে। পুলিশ জানায় ধৃতের নাম দীপ বিশ্বাস। তার বাড়ি অসমে। ধান ও নিষিদ্ধ ফেনসিডিল সিরাপ বোঝাই লরির সঙ্গে ছিল ওই যুবক। পুলিশ অন্যান্যদের ধরার আগেই বাকিরা মাঠ দিয়ে ছুটে পালিয়ে যায়। ভাতারের ছয় মাইল বাসস্ট্যান্ড ও গর্দানমারি গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় রয়েছে একটি চিঁড়ে মিল। এই চিঁড়ে মিলের গায়েই রয়েছে একটি গুদাম। দেওয়ানদিঘি এলাকার চামারদিঘি গ্রামের বাসিন্দা এক ব্যবসায়ী তার গুদাম ভাড়া খাটান। জানা গিয়েছে এদিন সকাল থেকেই দুটি লরি ওই গুদামের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এর পর দুপুর নাগাদ সূত্র মারফত পুলিশের কাছে খবর আসে বেশ কিছু লোক ধানবোঝাই লরির ভিতর থেকে প্রচুর পেটি আর একটি লরিতে চাপাচ্ছে। দ্বিতীয় লরিতে রয়েছে কিছু চালের বস্তাও। ঘটনার সময় একটি সাদা রঙের চারচাকা গাড়ি ওই লরিদুটির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ওই গুদামের সামনের কিছুটা অংশ প্রাচীর দিয়ে ঘেরা রয়েছে। একটি লরি থেকে আর একটি লরিতে পেটিগুলি চাপানোর বিষয়টি গোপনীয়তার সঙ্গেই করছিল ওই লোকজন। স্থানীয় এলাকা থেকে এই সন্দেহজনক বিষয়টি সম্পর্কে পুলিশের কাছে খবর আসতেই ভাতার থানার ওসি-র নেতৃত্বে পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। পুলিশ দেখেই দুটি লরি ও ওই চারচাকা গাড়িতে থাকা লোকজন পেটি ও বস্তা ফেলেই মাঠে মাঠে ছুটে পালিয়ে যায়। পুলিশ একজনকে ধরে ফেলে। ধৃত ব্যক্তি পুলিশের কাছে জানায় একজনের নির্দেশমতো ওষুধের পেটিগুলি একটি লরি থেকে আর একটি লরিতে চাপানো হচ্ছিল। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দুটি গাড়িতেই পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে দেখতে পায় প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ ফেন্সিডিল সিরাপ লরি দুটিতে রয়েছে।